মন্ত্রী-প্রতি-উপমন্ত্রীসহ বাদ পড়লেন ৯ জন

এইমাত্র রাজধানী রাজনীতি

আওয়ামী লীগ কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাউন্সিলে আংশিক কমিটি ঘোষণা করার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী কমিটির সাতটি পদ খালি রেখে বাকি ৩২টিতে নামের তালিকা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের ৮১ পদের মধ্যে ৭৪টি প্রকাশ করা হলো। বাকি পদগুলোতে পরে নাম ঘোষণা করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীসহ আগের কমিটির অন্তত ১৫-২০ জন হেভিওয়েট নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাদের কমিটির বাকি সাতটি পদে নেয়া হবে কিনা সেটিও স্পষ্ট নয়। মন্ত্রিসভার আর কেউ কমিটিতে জায়গা পাবেন কিনা সেটি পরিষ্কার করা হয়নি।
এর আগে শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির ১৭ প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ৪২টি এবং ৫১ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির ৪০টি পদ ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের ৩৯টি পদে স্থান পাওয়া আশায় ছিলেন আংশিক কমিটিতে বাদ পড়ারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আগের কমিটির কয়েকজনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান হলেও বাদ পড়েছেন মন্ত্রিসভার নয় সদস্য।
এ ছাড়া জেলা ও মহানগরের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নামও নেই পূর্ণাঙ্গ তালিকায়। এ নিয়ে ওই নেতারা কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন। তবে বাকি পদগুলোতে স্থান পাওয়ার আশায় আছেন কেউ কেউ।
বিভাগ ও অঞ্চলভিত্তিক সমতা আনার জন্য সাতটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে ঘোষিত কমিটিতে। সেগুলো হলো- সাংগঠনিক সম্পাদক-১, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য-৩।
তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঘোষিত ৭৪ পদের মধ্যে নতুন মুখ এসেছে ১৬ জন। নারী সংখ্যা চারজন বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৯। বাদ পড়েছেন আগের কমিটিতে থাকা ৯ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ ১৫ জন।
বিদায়ী কমিটির ৯ মন্ত্রীসহ ১৫ জন বর্তমান কমিটিতে স্থান পাননি। তারা হলেন- অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কার্যনির্বাহী সদস্য- শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
এ ছাড়া বাদ পড়েছেন বিগত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি; র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক রাফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।
১১ উপদেষ্টা পদ ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কার্যনির্বাহী সংসদের ফাঁকা ৩৯ পদের মধ্যে ছিল- সম্পাদকীয় ৫, সাংগঠনিক ৩, কোষাধ্যক্ষ, উপদফতর, উপপ্রচার ও কার্যনির্বাহী সদস্যের ২৮টি পদ। বৃহস্পতিবার যে ৩২ পদে নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তারা হলেন- অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসেকা আয়েশা খান (নতুন মুখ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ (নতুন), শ্রমবিষয়ক সম্পাদক পদে পুনর্র্নিবাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান সিরাজ।
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও কুলাউড়ার সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (নতুন)। আফজাল বিদায়ী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। উপদফতর সম্পাদক- ছাত্রলীগের গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান (নতুন), উপপ্রচারে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম আমিন।
কার্যনির্বাহী সদস্য- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (নতুন), খ ম জাহাঙ্গীর (নতুন), নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বদর উদ্দীন আহমদ কামরান, দীপঙ্কর তালুকদার, অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, রাজশাহীর আখতার জাহান (নতুন), হবিগঞ্জের ডা. মুশফিক (নতুন), অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, মেরিনা জাহান কবিতা, পারভীন জামান কল্পনা, রংপুরের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নতুন), লালমনিরহাটের অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন (নতুন), ঢাকার অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম (নতুন), আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান (নতুন), সাহাব উদ্দিন ফরাজী (নতুন), ইকবাল হোসেন অপু, মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা (নতুন)।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *