গণপূর্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপূর্ত অধিদপ্তরের রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাহিন আলমের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।


বিজ্ঞাপন

দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মেফতাউল জান্নাত গত ২৬ ডিসেম্বর দুদক আইনের ২৬ (১) ধারা মতে সম্পদ বিবরণী নোটিস জারি করার সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন।

দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত ওই স্মারকের সঙ্গে সংযুক্ত অভিযোগে বলা হয়, তিনি শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের সাথে আতাত করে নিম্নমানের কাজ ও সরঞ্জাম গ্রহণ করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিএনপির সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেন। দুর্নীতি ও অনিয়ম এই বিষয়টি আইএমইডি প্রতিবেদনে ধরা পড়ে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পায় একনেকের তদন্ত কমিটিও। ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশন দু’দফায় তার দুর্নীতির তদন্ত করে। প্রথম দফায় বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেলেও দ্বিতীয় দফার তদন্ত চলমান রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর গণপূর্তের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আশরাফুল ইসলাম। সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের মধ্যে এমন এক ব্যক্তিকে দুর্নীতি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দিলে অধিদপ্তর সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *