দীপু হত্যাকাণ্ড: ৯ আসামির যাবজ্জীবন

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুর মাজার সংলগ্ন রোডে দেওয়ান কামাল পাশা ওরফে দীপু হত্যা মামলায় নয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামির ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

রোববার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নছিম, আব্দুল মালেক ওরফে কানা মালেক, জয়নাল আবেদীন, ইকবাল হোসেন ওরফে সেন্টু, জোহরা হক, ইয়াছিন, আবুল হোসেন, দুলাল ড্রাইভার ও মো. সেলিম। দণ্ডিতদের মধ্যে মো. নছিম ছাড়া আর সবাই পলাতক।

মামলা পরিচালনাকারী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৪ বছর আগে ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মিরপুরের দ্বিতীয় কলোনি মাজার রোডের মজিবর রহমানের দোকানের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন ভিকটিম ওই দোকানের সামনে বন্ধু আলী হোসেন ও শুভর সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আলাপ করছিল।

এ অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি বেবিটেক্সিতে ৩ জন অজ্ঞাত যুবক আসে। যাদের মধ্যে একজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুরি দিয়ে দীপুর বুকের নিচে বাম পাশে আঘাত করে। এরপর যুবকরা বেবিটেক্সিতে করে চলে যায়। পরে দীপুকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা দেওয়ান আব্দুর রহমান রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. নাসির উদ্দিন পাইক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০৫ সালের মার্চ মাসে মামলাটির দ্রুত বিচার সম্পন্নের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ওই বছর ১৫ মে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচারের সময় ৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। সেখানে আরও ছয়জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *