সদরঘাটে বসানো হচ্ছে বিষাক্ত পানি ফিলট্রেশন মেশিন

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে নদী উদ্ধারের পর এবার ঢাকার চারপাশের নদী দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে পানি পরিশোধন শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে সদরঘাটে বসানো হচ্ছে বিষাক্ত পানি ফিলট্রেশন করার দুটি মেশিন। উদ্যোগ সফল হলে ঢাকার চারপাশের নদীর পানি ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা সংস্থাাটির।
তরল কিংবা কঠিন। বাসা বাড়ি কিংবা কারখানা। যত ধরনের বিষাক্ত বর্জ্য আছে তার সবই রয়েছে ড্রেন থেকে নেমে আসা এ পানিতে। আর অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তা সরাসরি গিয়ে মিশছে তুরাগে। যার কারণে তুরাগ পরিণত হয়েছে দৃশ্যমান বিশাল ভাগাড়ে।
শুধু তুরাগ নয়, বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চারপাশের সব নদীর একই দশা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিভারাইন পিপলের তথ্যমতে, ঢাকার চারপাশে এমন ৫১৩ টি ড্রেনের মুখ রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিউবিক লিটার বিষাক্ত তরল বর্জ্য নদীতে পড়ছে।
তবে সম্প্রতি ঢাকার চারপাশে নদী দখলমুক্তের অভিযানের পর এবার পানি দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
সংস্থাটি জানায়, পানি দূষণমুক্ত করার পাইলট প্রকল্প হিসেবে তারা প্রাথমিক ভাবে সদরঘাটে দুটি ওয়েস্ট ওয়াটার ফিলট্রেশন সিস্টেম বসানোর কাজ করছে। যে যন্ত্রের মাধ্যমে বিষাক্ত ময়লাযুক্ত পানি ৫ থেকে ৭ টি ধাপে পুরোপুরি পানযোগ্য হয়ে নদীতে পড়বে।
নদী উপযোগী ওয়েস্ট ওয়াটার চেম্বার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবুল কাশেম হক বলেন, এখানে পানিটা সিলিকন ওয়াশ হবে তারপর কার্বন ওয়াশ হবে তারপর নদীতে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, পাইলট প্রকল্প সফল হলে ঢাকার চারপাশের সবগুলো ড্রেনের মুখে ফিল্টার মেশিন বসানো হবে।
গবেষক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমরা বিওডি পেয়েছি সাড়ে তিনশো, আদর্শ মান হচ্ছে পঞ্চাশ, আমরা এই ফিল্টারগুলো বসালে যেটা ত্রিশে নেমে আসবে।
একেকটি ফিল্টার দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ ঘনমিটার পানি পরিশোধন করা যাবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *