বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী স্বাস্থ্য

দায়িত্বজ্ঞানহীনতা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে বেশিরভাগ জায়গায় দুই বাড়ির মাঝের সার্ভিস লেন যেন ময়লার ভাগাড়। আর এতেই জমে থাকা পানি এই করোনার মাঝে যোগ করেছে ডেঙ্গুর শঙ্কাও। তবে এই ময়লা ফেলছে কে? একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের এক তাৎক্ষণিক জরিপে দেখা যায় এর দায় কেউ নিতে রাজি নন। তবে নগরবাসীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন নগরবিদরা।
আবর্জনার কয়েক ফুট উঁচু স্তূপ কেবলই গৃহস্থালি বর্জ্যের। মোহাম্মদপুর এলাকায় তিন থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত এমন সার্ভিস লেন রয়েছে প্রায় ৮০টি। কোথাও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন সরাসরি জুড়ে দেয়া সেখানে। ফলে জমছে পানি, তৈরি হচ্ছে এডিসের প্রজননস্থল।
এই ময়লা ফেলছেটা কে? এমন প্রশ্নে জবাব মিলল একটাই। স্থানীয়রা বলেন, এই ময়লাগুলো তো এখানকার লোকজনই ফেলেন।
তাই ছোট্ট একটা জরিপ চালায় ওই স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। ২৫টি বাড়িতে গিয়ে জানতে চাওয়া হয়, সার্ভিস লেনে জমে থাকা আবর্জনার কথা। দুই পরিবার দায় নিলেও ২৩টি পরিবারই দুষলেন প্রতিবেশীকে। কেউ কেউ বললেন, নিজ অংশটুকু পরিষ্কার করার কথা। সিটি করপোরেশনের অবহেলাকেও দায়ী করেছেন অনেকে।
এই জরিপ নাগরিক উদাসীনতার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, এটা ছড়িয়ে দিতে হবে যে কীভাবে আমরাই অসচেতন হয়ে ডেঙ্গুর প্রজননক্ষেত্র তৈরি করছি। আর সিটি করপোরেশন এলাকাভিত্তিক পরিষ্কারের দায়িত্ব অর্পণ করবে আর এতে কেউ ব্যর্থ হলে সেই অনুযায়ী করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে। শিগগিরই সার্ভিস লেন উদ্ধারে কঠোর হওয়ার কথা জানালো সিটি করপোরেশন।
ডিএনসিসি’র ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, এমন আইন করা উচিত যে প্রতিটা বাড়িতে নেট লাগাতে হবে এবং এরপরও যদি কেউ ময়লা ফেলে তাকে জরিমানা করা হবে।
গত মৌসুমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীর প্রায় ১০ শতাংশই ছিল মোহাম্মদপুর এলাকার।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *