নীলবেদনায় নীলাভ সাগর

জাতীয় জীবন-যাপন বিবিধ

ডা.অমল ঘোষ

 

দেশ স্বাধীনতার পর সবচেয়ে দূর্বিসহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সারা বিশ্ব যখন অথৈ জলে ডুবে যাচ্ছে তখন কে দাড়ায় কার পাশে। এমতাবস্তায় বিশ্ব আজ নিজে বাঁচলে বাপের নাম এমনি এক ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে।
কেউ কি ভাবতে পারবেন আজকের এই নির্মম বাস্তবতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সোনার বাংলা গড়ার মহাকারিগর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনের কি অবস্থা। হয়তো কল্পনাও করা সম্ভব না। কেননা জাতির পিতাকে হত্যার পর এই নরম মাটির মানুষগুলো বড়ই কষ্ট পেয়েছে। কি পেটের ক্ষুধায়, কি মস্তিষ্কের প্রদাহে। একদিক যুদ্ধপরবর্তী বিদ্ধস্ত দেশ, তারপর আবার প্রিয় জনের বিয়োগ, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা। সব মিলে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছিল এই স্বপ্নের বাংলাদেশ।
একের পর এক কু হয়েছে ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে গণতন্ত্রের লেবাসে অস্ত্রধারীদের হাতে।
রতœকন্যা যখন থেকে রাষ্ট্র হাতে পেলেন তারপর থেকে যাদুরকাঠি ছুঁ’য়ে দেবার মত তর তর করে এগিয়ে চলছিলো উন্নয়নের সবগুলো সূচক। চাঁদের কলঙ্কের ন্যায় ইনডেমনিটি বাতিল হলো, জাতির পিতা হত্যার বিচার হলো, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলো, রায় কার্যকর হলো।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি, গঙ্গার পানিচুক্তি, সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্রসীমা অর্জন, মঙ্গা দূরিভূত, খাদ্যে উদবৃত্তি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সমাজ, বিদ্যুতে সফলতা, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কল্পনাতীত প্রবৃদ্ধি অর্জন। এমনি করে বিশ্ববাসীর কল্পনাকেও ছাড়িয়ে এগিয়ে চলছিলো প্রিয় বাংলাদেশ।
যে মানুষটির অক্লান্ত পরিশ্রমে আর সততা ও দূরদর্শিতায় এই প্রাপ্তি রাষ্ট্রের এই দূর্দিনে সব চেয়ে বেশী আঘাত পেয়েছেন সেই নির্লোভ মানুষ যা আমাদের পক্ষে দূরঅনুমেয়।
জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী, পদ্মাসেতু উদ্বোধন, মেট্রোরেল উদ্বোধন, প্রবৃদ্ধি আটের ঘরে…ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যখন আমাদের এই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম ইতিহাসের পাতায় স্থান পেতে যাচ্ছিলো, যখন বাংলার দুঃখি মানুষের মুখে উন্নত জীবনে আলোকের ঝলকানি ঠিক সেই সময় ইতিহাসের মহাবিপর্যয় নেমে আসে পৃথিবী পৃষ্ঠে।
ক্ষতি কার কত হয়েছে, হচ্ছে সে তুলনা আমরা করতে চাই না। তবে অন্যেরতো মেরুদন্ড ইস্পাতের মত আগে থেকেই আর আমরা সবে মাত্র মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াচ্ছি, সবে মাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমাপ্তির দিকে, যখন আমরা আকাশ ছুইবার সামর্থ অর্জন করেছি সারাবছরের কষ্টের শেষে ভাল পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য যেমন শিক্ষার্থীর অপেক্ষা আমাদের প্রিয়নেত্রীরও ঠিক সেই সময়। আর এই মহেন্দ্র ক্ষণে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে এক অদৃশ্য দূর্যোগ। লন্ডভন্ড পৃথিবী, লন্ডভন্ড প্রিয় বাংলাদেশ। শত বছরে কি আর পাব এমন একজন রত্নকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। নাকি নরপিশাচরা আবারও হায়নার মত ছিড়ে ছিড়ে খাবে আমাদের ভাগ্যের মানচিত্র।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *