সম্মুখসমরের যোদ্ধার ঋণ শোধ হবার নয়

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো কিছুর প্রাপ্তির আশায় নয় বরং দায়িত্ববোধ ও মানবসেবার ব্রত থেকেই করোনা সংকটের এ সময়ে রোগীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ চিকিৎসকদেরই হতে হয় বঞ্চনার শিকার, শুনতে হয় নানা কটাক্ষ।


বিজ্ঞাপন

বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিপদের সময় বন্ধু হয়ে পাশে থাকা চিকিৎসকদের মনোবল বাড়াতে শুধু আর্থিক প্রণোদনা নয়, নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক সুরক্ষা।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, জীবন বাঁচানোর প্রতিদান হয়তো মিলবে না কোনো কিছুতেই। তবে কিছুটা কৃতজ্ঞতা, কিছুটা ধন্যবাদ জানাতে দোষ কী? আর এক জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি, বড় অর্জন আর কিইবা হতে পারে?

নিউইয়র্ক হাসপাতালের চিকিৎসক উমা মধুসূদন। নিরলস সেবা-শুশ্রুষায় একে একে সুস্থ করে তুলেছেন অনেক করোনা পজেটিভ রোগী। তাইতো রোগী ও তার স্বজনদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ তাও আবার ভিন্ন পন্থায়।

হাসপাতালের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেই প্রতিবেশীদের অভ্যর্থনা। হয়তো ছোট্ট কটি কাগজে দুই-একটি শব্দ কিংবা বাক্য। তবে এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা, লুকিয়ে থাকা সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ অমূল্য-অসীম।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিকালে সম্মুখসমরের যোদ্ধা বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও। করোনা পজেটিভ স্বজনকে নিয়ে স্বজনই যখন আতঙ্কগ্রস্ত তখন এগিয়ে আসছেন চিকিৎসক। আছে পরিবারের পিছুটান, মায়ার বন্ধন। কিন্তু সবার আগে মহান ব্রত, সবার আগে মানব সেবা।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জহিরুল ইসলাম লিটন বলেন, চেষ্টা থাকে একজন রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোর।