আবারও লকডাউন নড়াইল জেলা

সারাদেশ স্বাস্থ্য

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইল জেলা লকডাউন ঘোষণা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ লকডাউন অব্যহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন, নড়াইলের জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা।
আজ (১৪মে) সকালে এ লকডাউনের ঘোষণা দেন নড়াইল জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা।
নড়াইল জেলা করোনা মুক্ত ঘোষণা করেন নড়াইলের সিভিল সার্জন। ঘোষণার পর পরই নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় একজন করোণার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন, নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠালে করোনা পজেটিভ আসে এবং আরো একজনের করোনা টেষ্টে পজেটিভ এসেছে বলে জানা যায়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের দেশ পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হলে সারা দেশে সাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করণে নড়াইলেও সাস্থ্যসেবার মান উন্নতকরণে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নড়াইলের সুশিল সমাজ নড়াইল সিভিল সার্জনের অপসরণ চেয়ে অনলাইনে ঝড় তুলতে দেখা গেছে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা জানান, দেশের সকল জেলার ।‌ ন্যায় নড়াইলেও সিমিত হারে শপিংমলসহ সকল প্রকার দোকান পাট খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো।
নড়াইলে করোনার সাস্থ্যবিধি মেনে না চলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ঈদের কেনাকাটা করতে ৯০% অসাবধানতা মুলক চলা ফেরা করার জন্য আবারও আগামিকাল (১৫মে) শুক্রবার থেকে নড়াইল জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হলো। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্জন্ত লকডাউন অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সাস্থ্যবিধি মেনে ঔষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনি কাঁচাবাজার খোলা থাকবে এর ব্যতিত সকল প্রকার দোকান পাট বন্ধ থাকবে। পুলিশই জনতা, জনাতাই পুলিশ এ স্লোগানকে সামনে রেখে নড়াইল শহরে পুলিশের মহড়া ও সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে সবাইকে ঘরে থাকার উদ্দেশে।
নড়াইল জেলার সর্বস্তরে জেলা প্রসাসন ও নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ লকডাউন অব্যহত থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা। যশোরের পর এবার জরুরী ভিত্তিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো নড়াইলে।
এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার নির্দেশনায় জেলা তথ্য অফিসের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত নড়াইল শহরের পাড়া মহল্লায়, বিভিন্ন পয়েন্টে,পয়েন্টে।

তথ্য অফিসের নিজস্ব প্রচার মাইকে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জেলা সর্বস্তরে।
যদিও নড়াইল অন্যান্য দিনের চেয়ে শহরের রাস্তাঘাট, বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, দেশের চলমান সংকটে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নড়াইল জেলাকে বিপদ মুক্ত রাখতে আমরা জরুরী ভাবে লকডাউন ঘোষণা করেছি।
তিনি আরও জানান, জরুরী প্রয়োজনে ঔষধ হাসপাতাল, ডাক্তার, এ্যাম্বুলেন্স, প্রশাসন, সাংবাদিক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এই লকডাউনের আওতার বাহিরে থাকবে বলে জানান।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক অকারণে বাহিরে থাকতে পারবে না, যদি কেউ এ লকডাউন আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে জরুরী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে রমজান মাসকে পুজি করে, অহেতুক মিথ্যা কথা বলে কিছু যুবসমাজ মটোরসাইকেল নিয়ে রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরিসহ আড্ডা দেন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। এসময় পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ স্বেচ্ছাসেবীগণ তাদের সচেতনতা মূলক পরামর্শ দিলেও উল্টা বুঝিয়ে দেন তারা।
এ যুবসমাজ হয় পদপদবির পরিচয় দেন, না হয়, নেতাদের পরিচয় দেন বলে একাধীক অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবীগণসহ সকলেই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে সকলকে বাচাঁতে বা রক্ষা করতে সকলকে ঘরে থাকতে ও সচেতন করতে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই ঘরে থাকুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, পরিবার ও সমাজ সহ দেশকে মাহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সহযোগীতা করুন।