পঙ্গুর রোগী বেসরকারিতে

অপরাধ আইন ও আদালত

র‌্যাবের অভিযানে আটক ১০, জরিমানা ২২ লাখ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে এবং মিথ্যে তথ্য দিয়ে ভাগিয়ে নিতো দালাল চক্র। নিয়ে ভর্তি করাতো বেসরকারি হাসপাতালে। কিছু চিকিৎসক ও দালালদের যোগসাজশে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে দুজন রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় হাতেনাতে ১০ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-২।
গত বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদন্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী রাতেই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটক দশজনের মধ্যে একজনকে একবছর, ৩ জনকে নয় মাস ও বাকিদের তিন মাস করে জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরিমানা করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। দালালদের রোগী ভাগানোর কৌশল সম্পর্কে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে এই দালালরা নতুন কোনও রোগী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলে তাদের বলতো, ডাক্তাররা অবহেলা করে। ভালো চিকিৎসা করেন না। আর ভর্তি হলেই হাত পা কেটে ফেলে দেয়। আর এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ চলাকালে বলছে, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে করোনা হতে পারে। চিকিৎসা ভালো পাওয়া যাবে না।’
পঙ্গু হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও দালালদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। চিকিৎসকরা নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তির জন্য গোপনে রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দেয়। যা দালালদের কাজকে আরও সহজ কওে দেয় বলে জানান অভিযানে থাকা র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, একবার কোনও প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করাতে পারলেই হলো। এরপর শুরু হয় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা আদায়ের পালা।
দালালদের রোগী ভাগানোর কৌশল সম্পর্কে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে এই দালালরা নতুন কোনও রোগী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলে তাদের বলতো, ডাক্তাররা অবহেলা করে। ভালো চিকিৎসা করে না। ভর্তি হলেই হাত পা কেটে ফেলে দেয়। আর এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ চলাকালে বলছে, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে করোনা হতে পারে। চিকিৎসা ভালো পাওয়া যাবে না।
পঙ্গু হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকরাও দালালদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। চিকিৎসকরা নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তির জন্য গোপনে রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দেয়। যা দালালদের কাজকে আরও সহজ করে দেয় বলে জানান অভিযানে থাকা র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, একবার কোনও প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করাতে পারলেই হলো। এরপর শুরু হয় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা আদায়ের পালা। আজ এটা তো কাল অন্যটা। এভাবেই তারা এ অপকর্ম করে আসছিল। এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানান র‌্যাব-২ এর তদন্ত কর্মকর্তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর কলেজ গেট এলাকায় প্রাইম অর্থোপেডিক ও জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে দেখা যায়, দালাল চক্রের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন রোগীকে কম টাকায় সুস্থ করে দেবে বলে ভাগিয়ে নিয়ে এনে একজন ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে বিশাল অংকের ভুয়া বিল ধরিয়ে দেয়। সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। একজন রোগী বাম পায়ের আঘাত নিয়ে ভর্তি হলে প্রথমে তার বাম পা এবং ডান পায়ের টিস্যু নেওয়ার কারণে পরবর্তীতে ডান পা কেটে ফেলা হয়।’


বিজ্ঞাপন