জনগনের প্রতি দায় অনুভব করে যথাসাধ্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি

অন্যান্য বিবিধ সারাদেশ

ফেসবুক থেকে নেয়া

 

ইকবাল হোসেন অপু : পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যখন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেই অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রিম নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মার্চ মাসের শুরু থেকেই সারা বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল।


বিজ্ঞাপন

আমি আমার নির্বাচনী এলাকা (পালং-জাজিরা) ২২১, শরীয়তপুর-১ করোনা মহামারি রোধে শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগনের প্রতি আমার দায় অনুভব করে যথাসাধ্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি।
মার্চ মাসের ১৬ তারিখ থেকেই আমি নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি প্রদানের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করি এবং আজ অবধি খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, কৃষক, পরিবহন ও ট্রাক শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান-অটো চালক, নরসুন্দর, বেদে, নির্মান শ্রমিক, প্রতিবন্ধি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অন্যান্য শ্রমিক, কর্মক্ষমহীন, অসহায়, দরিদ্র সহ নিম্ন-মধ্যবিত্তদের মাঝেও ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়া মাত্র‌ই আমি নিজ জেলা, বিশেষ করে নিজ নির্বাচনী এলাকা করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে ব্যাপকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাই এবং আজ অবধি অব্যাহত রেখেছি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নির্দেশনা মূলক লিফলেট বিতরন, শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে মাইকিং, সচেতনতা মূলক চিত্রাংকন ও নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করে যাচ্ছি।

নিজস্ব অর্থায়নে আমি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ মাঠ পর্যায়ে যে সকল স্বেচ্ছাসেবীগণ কাজ করছেন তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী অর্থাৎ পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিশেষায়িত চশমা ইত্যাদি সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি।

এছাড়াও আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সামরিক কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে সার্বক্ষনীক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

সমাজের বিত্তশালী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদের এই দূর্যোগ মোকাবিলায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ, অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগানোর চেষ্টা করছি।

এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী ও সামাজিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে এই দূর্যোগ মোকাবিলায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি।

হট লাইন চালু করেছি। হট লাইনে কোন দুঃস্থ ব্যক্তির ফোন আসা মাত্র স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী দিন কিংবা রাত হোক সেখানে খাবার সামগ্রী অথবা চাহিত সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।

এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছি। আমার মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত সুলতান হোসেন মিয়া ফাউন্ডেশন এর আওতায় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল টিম ইউনিয়ন পর্যায়ে দুঃস্থদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এই ফাউন্ডেশনের আওতায় প্রায় ৬০০ জন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনগনের মাঝে নিত্য খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়। এছাড়া আমি নিয়মিত প্রায় ৫০০ জন পথচারির মাঝে প্রস্তুতকৃত ইফতার প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।

স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই ত্রাণ বিতরন সহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, আধুনিক বাংলার রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত মহান দায়িত্ব দেহে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত পালন করে যাবো ইনশাআল্লাহ্‌।

আমার নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত জনগন‌ই আমার সাহস ও অনুপ্রেরণা। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে এই মহামারি জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ্‌।