করোনায় সুস্থের হার বাড়ছে যে ওষুধে

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহারে করোনা মুক্তির হার বেড়েছে কয়েক গুণ। রাজধানীর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেড় হাজার আক্রান্ত রোগীর ওপর এই ওষুধ ব্যবহার করে এমন দাবি করছেন চিকিৎসকরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা এর ব্যবহারকে স্বাগত জানালেও গুরুত্ব দিচ্ছেন গবেষণায়। স্বাস্থ্য বিভাগও বলছে, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তারা।
করোনায় ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পুলিশ। সংখ্যাটা তিন হাজারের বেশি। প্রথমদিকে প্রতিদিন গড়ে বিশ থেকে ত্রিশজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে গত চার পাঁচদিনে সেই সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় এক’শ।
হাসাপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, ইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহারের ফলেই বাড়ছে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা।
রোগী শনাক্তের প্রথম দিনেই দেয়া হচ্ছে দুটি ইভারমেকটিন আর ডক্সিসাইক্লিন দেয়া হচ্ছে সাত দিনে সাতটি। তাতেই মিলছে সুফল।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার মো. এমদাদুল হক বলেন, আমরা লক্ষ করছি কয়েকদিন ধরে রোগী সেরে উঠছে প্রতিদিন প্রায় ১০০ করে। দুটি ইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম এই ওষুধে সুফল মিলছে।
এমন জরুরি সময়ে এসব ওষুধ ব্যবহারে নিষেধ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তর গবেষণার তাগিদ তাদের।
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এ ওষুধ দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের প্রচারণা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। তাই গবেষণা করা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলছেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করছেন তারা।
প্রায় দেড়মাস বেশ কয়েকজন রোগীর ওপর গবেষণা শেষে দেশে এই ওষুধ দুটি ব্যবহারের সুফল তুলে ধরেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম।


বিজ্ঞাপন