মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নকল-ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ঔষধ প্রশাসন

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় সারাদেশ স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদন : পৃথিবী সহ সারা বাংলাদেশ যখন করোনা সংক্রমনে আতংকিত ঠিক তখনই সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ধীন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকতা কর্মচারীরা করোনা সংক্রামনের ভয়কে জয় করে পরিচালনা করছে একের পর এক নকল ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান। প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকতা আজ নকল-ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলছে। তাড়া মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে করোনার সংক্রামনের ভয়কে জয় করে মান সম্পন্ন ঔষধ সামগ্রী, ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ফলে নিম্মমানের ঔষধ সামগ্রী, ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই সারাদেশে অবস্থিত ঔষধের ফার্মেসিও গোডাইন সিল গালাসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ খবর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ঠ সূত্রের। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায়, দেশে প্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হওয়ার পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান ঔষধ শিল্প সমিতি, সার্জিক্যাল ব্যাবসায়িক সমিতি, মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ী নেতৃবৃদ্ধ এবং ঔষধ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক, হ্যান্ড বারসহ করোনা সংক্রামন প্রতিরোধে ব্যবহৃত সকল সামগ্রীর গুণগত মান ও মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর ধারাবাকিতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন এলাকয় নকল ভেজাল ঔষধ, নি¤œমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক বিক্রি বন্ধ এবং অতিরিক্ত মূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ফেস মাস্ক বিক্রির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সম্প্রতি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় প্রধান উপ-পরিচালক হারুন উর রশিদ ও র‌্যাব-৩ এর সমন্বয়ে রাজধানীর তোপখানা রোডের হোটেল বৈশাখীতে এক অভিযান পরিচালনা করেন। উক্ত অভিযানে র‌্যাব-৩ এর ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু এবং ঔষধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক হারুন উর রশিদ দেখতে পায় সেখানে আগে থেকে গ্যালনে করে আনা নি¤œমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাত করা হচ্ছে। এন-৯৫ ফেস মাস্ক যা শুধু মাত্র আমেরিকাতে তৈরি হয়, ওই এন-৯৫ মাস্ক পিপিই (পার্সেনাল প্রটেকক্টিভ ইকুইপমেন্ট) চায়না থেকে আনা নি¤œমানের ওই এন-৯৫ মাস্ক এ আমেরিকার সিল লাগানো হচ্ছিল। এ কাজে হোটেল বৈশাখীর বিল্ডিং মালিকপক্ষ জড়িত বলে র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা জানান। আর এসব অবৈধ কার্যক্রম করে আসছিল মেসার্স খান ট্রেড লিংক তোপখানা রোড ঢাকা এর ব্যানারে উক্ত প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যতিত নি¤œমানের বি-ক্লিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, এ্যাকুয়া হ্যান্ড রাব, এন-৯৫ মাস্ক ও ডেংগু কিট সংরক্ষণ করছিল। একারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমান করেন মোবাইল কোর্ট। অপরদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে আন-রেজিষ্টার্ড অ্যান্টি ক্যান্সার, সেক্সুয়াল ও ভিটামিন জাতীয় ওষুধ জব্দ করে তা অপরাধ আমলে নিয়ে র‌্যাব-৪ এর ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান সর্বমোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। উক্ত অভিযানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাহিন-আল-আলম। অপরদিকে নরসিংদী জেলার নিম তলা এলাকায় জেলা প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্দ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৪টি ফার্মেসির মধ্যে ৩টি ফার্মেসিকে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও অন-অনুমোদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয় ও সরক্ষণ করা এবং ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে ওষুধ ব্যবসা করার অপরাধে ৩টি ফার্মেসিকে মোট ২১ হাজার ৫০০শত টাকা জরিমান করেন এসময়ে অপর একটি ফার্মেসিকে মৌখিক ভাবে সর্তক করা হয়। এসময়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নরসিংদী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুমাইয়ারা আফ্রোজ উপস্থিত ছিলেন। গত ১৮/০৫/২০২০ তারিখে রাজশাহীর লক্ষিপুর মোড়ে বিশ্বাস সুপার মার্কেট, মাহমুদ প্লাজা, বিসমিল্লাহ সুপার মার্কেট, সিমান্ত সুপার মার্কেট রাজ পাড়া এলাকায় ১৮টি ফার্মেসিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট অনুমোদনবিহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নি¤œমানের সার্জিক্যাল মাস্ক, সংরক্ষণ করা অপরাধে ৪টি ফার্মেসিকে জরিমানা করে। নি¤œমানের ও অন-অনুমোদিত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয় না করার জন্য বিশেষভাবে ঔষধ ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয় এসময়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রাজশাহীর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মির্জা আনোয়ারুল বাসেদ উপস্থিত ছিলেন। ১৭/০৫/২০২০ তারিখে ঝিনাইদাহের পায়রা চত্বরের সম্মুখে ফুটপাত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হোক্সিসল বিক্রি করায় মো. ফিরোজ নামের এক ব্যক্তিকে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ৩৬ ও ৩৭ ধারায় ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসানের অভিযোগ ও প্রসিকিউশন দায়ের করায় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট জিন্নাতুল ইসলাম এক হাজার টাকা জরিমানা ও মালামাল জব্দ করা সহ ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করেন। এর পূর্বে মাগুরা ও ঝিনাইদাহের ঔষধ প্রশাসন ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে মেসার্স আবালপুর ড্রাগ হাউজ ও বাংলাদেশ মেডিকেল হল এর নিজস্ব ঔষধের ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ভারতীয় ঔষধ পাওয়া যায়। ফলে উক্ত ফার্মেসি দুটির মালিককে ১৭ হাজার টাকা জরিমান করা সহ মেসার্স বাংলাদেশ মেডিকেল হলের ফার্মেসি সাময়িক বন্ধ করা হয়। এছাড়া জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা সহ আরো ৪টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। গত ১৪/০৫/২০২০ তারিখে ঔষধ প্রশাসন রংপুর আন-রেজিষ্ট্রার্ড টেস্টি স্যালাইন উৎপাদন করার দায়ে একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইদিনে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‌্যাব সদও দপ্তরের সমন্বয়ে নকল-ভেজাল বিরোধি এক অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে উত্তর বাড্ডা এলাকায় লেভেন্ডার টয়লেট্রীজ নামক প্রতিষ্ঠানকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যাতিত ইনিষ্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সেইফটি প্লাস হ্যান্ড রাব উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৫ লাখ টাকার কাঁচা মাল ধ্বংস করা হয়। এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান উপ-পরিচালক হারুন উর রশিদ উপস্থিত ছিলেন একই দিনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর কাকরাইল এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে আন-রেজিষ্ট্রার্ড ভিটামিন জাতীয় ঔষধ জব্দ করা হয়। এ বিষটি আমলে নিয়ে ডিএমপির ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ঔষধ আইনে ওই ফার্মেসিকে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা জরিমান করেন। অভিযানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ঔষধ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা নাহিন-আল আলম। অপরদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বাটা মোড় ও থানা রোড এলাকায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট ঔষধ আইন ১৯৪০ লংঘন করার অপারধে দুটি ফার্মেসিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা সহ ২০ হাজার টাকার টাপেনটা ও পেনাডল জাতীয় ঔষধ জব্দ করেন। ১৪/০৫/ ২০২০ তারিখে ঔষধ প্রশাসন লক্ষিপুর, জেলাপ্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর আওতায় ২টি ফার্মেসিকে ৩হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। একইদিনে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মালুপাড়া বাজারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চাপাইনবাবগঞ্জ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঔষধের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মোবাইল কোর্ট পরিচালন কালে মোট ৬টি ফার্মেসির মধ্যে ২টি ফার্মেসিকে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ঔষধ ব্যবসা করা, মেয়াদউত্তির্ণ ঔষধ রাখা, আন-রেজিষ্ট্রার্ড ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রাখার দায়ে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট ১১হাজার টাকা জরিমান করেন। ঔষধ প্রশাসনের চাপাইনবাবগঞ্জ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত ১২/০৫/২০২০ তারিখে ঔষধ প্রশাসনের বগুড়ার সহকারী পরিচালক বগুড়ার খান মার্কেটের তৃতীয় তলায় এক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় আন-রেজিষ্ট্রার্ড মাস্ক ও পিপিই রাখার দায়ে ২টি মামলা সহ ১০হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাইল কোর্ট। এছাড়াও গত ১০/০৫/২০২০ তারিখে বগুড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক আহসান হাবীব শাহজানপুর উপজেলার শেখপাড়া মার্কেটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আন-রেজিষ্ট্রার্ড ঔষধ রাখার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এ বিষয়ে ২টি মামলা হয়। একইদিনে রাজশাহীর লক্ষিপুর মেড়ে ঔষধের বাজার, মিন্টু চত্বর বিসিডিএস মার্কেটে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট চলাকালিন ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা করা ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল সংরক্ষণ করার অপরাধে ২টি ফার্মেসিকে জরিমানা করেন এবং নি¤œ মানের পিপিই ও মাস্ক বিক্রয় না করায় জন্য ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সর্তক করেন। এসময় রাজশাহীর উপ-পরিচালক মির্জা আনোয়ারুল বাসেদ উপস্থিত ছিলেন। গত ৭/০৫/২০২০ তারিখে রংপুর সদর উপজেলায় ঔষধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে বেশকটি ঔষধের মার্কেটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। উক্ত অভিযানে ১টি ফার্মেসিতে প্রায় ২ কার্টন আন-রেজিষ্ট্রার্ড ঔষধ জব্দ ও ধ্বংস করায় হয়। উক্ত অপরাধে ঔষধ আইন মোতাবেক ১টি মামলা সহ জরিমানা করা হয়। এর পূর্বে গত ৯/০৫/২০২০ তারিখে শেরপুর জেলার সদর থানাধীন কলেজ মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসন এবং ঔষধ প্রশাসন শেরপুর এর যৌথ উদ্দ্যেগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট মেয়াদউত্তির্ণ ঔষধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট, মিসব্রান্ডেড ঔষধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল সংরক্ষণ করার অপরাধে ৩টি ফার্মেসিকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত ৭/০৫/২০২০ তারিখে জয়পুর হাট সদর উপজেলার থানা রোড এলাকায় এ্যাসিল্যান্ড সদর ও ঔষধ প্রশাসন এর সমন্বয়ে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে ঔষধ আইন লংঘনের অপরাধে একটি ফার্মেসিকে জরিমান করা হয়। একইদিনে ঔষধ প্রশাসন চট্টগ্রাম ও জেলা প্রশাসন এর যৌথ উদ্দ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর হাজারী লেইনে মোবাইল কোট পরিচালনা করেন। অন-অনুমোদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই মাস্ক বিক্রি তাপ সংবেদনশীল ঔষধ যথাযত সংরক্ষণ না করা, নকল ও আন-রেজিষ্ট্রার্ড বিদেশী ঔষধ বিক্রি এবং বিপুল পরিমাণ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল মজুদের দায়ে ঔষধ আইন ১৯৪০ অনুযায়ী ৯টি ফার্মেসিকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাই কোর্ট। এসময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় প্রধান উপ-পরিচালক ড. আকিব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। একইদিনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জেলা প্রশানের সহযোগিতায় ঔষধ প্রশাসন গাজীপুর একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মোবাই কোর্ট পরিচালনা কালে কোয়ালটিফাইড পার্সনের অনুপস্থিতি, মেয়াদউত্তির্ণ ঔষধের যথাযত সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকা এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রাখার দায়ে ঔষধ আইনে তিনটি ফার্মেসিকে মোট ৮ হাজার ঢাকা জরিমানা করেন। গত ৬/০৫/২০২০ তারিখে ফেনী জেলার ট্রাংক রোড, মহীপাল এবং একাডেমী এলাকায় ঔষধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৩টি ফার্মেসিকে মেয়াদউত্তির্ণ ঔষধ, সার্জিক্যাল ডিভাইস ও অনুমোদনহীন ঔষধ রাখার অপরাধে জরিমানা করা হয়। একইদিনে নারায়ণগঞ্জ জেলার চানমারী ও চাষাডা এলাকায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ এর যৌথ উদ্দ্যোগে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ঔষধ ব্যবসা করা ও সরকারী ঔষধ রাখার অপরাখে শরীফ মেডিকেল হল কে ৫০০০ টাকা, বেশি দামে ঔষধ বিক্রির দায়ে কনা মেডিসিন কর্নারখে ৫০০০ টাকা, এবং মিস ব্রান্ডেড ঔষধ রাখার অপরাধে নিউ পপুলার ফার্মেসিকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। গত ০/৫/২০২০ তারিখে বরিশাল জেলার কাঠ পট্টি বাজারে ঔষধ প্রশাসন ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্দ্যোগে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৩টি ফার্মেসিকে মেয়াদউত্তির্ণ ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রাখার অপরাধে ৪৫ হাজার টাকা জরিমান করেন। এ বিষয়ে উল্লেখিত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও জেলা সমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আজকের দেশকে জানান দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মান সম্পন্ন ঔষধ এবং করোনা সংক্রামন ঠেকাতে মান সম্পন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক সহ সব ধরনের মেডিকেল ডিভাইস সরবরাহ ও এবং এসবের মজুদ ও বেশিদামে যেনো বিক্রি না হয় এজন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান স্যার আমাদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই সারা দেশেই নকল-ভেজাল ঔষধ মজুদ, বিক্রি ও সরবরাহের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।


বিজ্ঞাপন