এক্সিম ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেনি শিকদার গ্রুপ

অর্থনীতি জাতীয় বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বিভিন্নখাতে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসা শিকদার গ্রুপ এক্সিম ব্যাংকের কাছে কোনো ঋনের আবেদন করেনি এবং গুলির কোন ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত একটি রিপোর্টেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিকদার গ্রুপ।


বিজ্ঞাপন

শিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নিয়ে ৭মে এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যায় বলে ১৯ মে গুলশান থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। রন হক সিকদার এরূপ কোন ঋণের আবেদন করে নাই। যাহা অদ্য মামলার বাদী কর্নেল (অবঃ) সিরাজুল ইসলাম বিপি কোন ভাবেই দেখাতে পারবে না। কাজেই এসব বিষয় নিয়ে এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডিকে গুলি করা ও নির্যাতনের প্রশ্নই আসেনা।

বুধবার (২৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো শিকদার গ্রুপের আইনজীবি সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল বাছেত মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।

রন হক শিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও পরিচালনা পর্ষদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সুনামের সহিত বিভিন্ন খাতে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ভুয়া ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের জন্য আমি শিকদার গ্রুপের পক্ষ থেকে দৃঢ় প্রতিবাদ জানাই এবং আমার মক্কেলের দৃঢ় বিশ্বাস উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হইবে এবং প্রকৃত দোষী (বাদী এবং এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ) কে আইনের ও ন্যায় বিচারের সম্মুখীন হইতে হবে।

এক্সিম ব্যাংকের জনৈক পরিচালক ব্যবসা প্রসারের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকারের ঋণ সুবিধা গ্রহন করে। জনৈক পরিচালক তাঁর কন্যার নামেও ঋণ সুবিধা গ্রহন করে। জনৈক পরিচালক বেনামে ঋণ সুবিধা গ্রহনের জন্য প্রস্তাব প্রেরন করেন। মামলার বাদী নিজেও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহন করেছেন। উপোরেল্লিখিত বিভিন্ন ঋণের উপযুক্ত জামানত ব্যতিরেকে ঋণ প্রাপ্ত হইয়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনৈক পরিচালক ও তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিপুল অঙ্কের ঋণ সুবিধা আবেদনের নিমিত্তে ১৩ মে ৫ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা গ্রহন করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, রন হক সিকদার ও ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্ধতন কর্মকর্তা ৭মে এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যায় নাই। যেখানে কোন ঋণেরই প্রস্তাব নাই, ওইদিন এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সাথে দেখা করেন নাই। সেই ক্ষেত্রে ঋণ এবং এই সংক্রান্ত জামানত নিয়ে দর কষাকষির কোন সুযোগ আসতে পারে না। মামলার বাদী উল্লেখিত ঘটনার সাক্ষী নয়। এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সাথে আলোচনা না করে ব্যাংকের শুধু নির্বাহীদের সাথে কথা বলে ঘটনার ১২ দিন পর উদ্দেশ্য প্রোনোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেন। যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং মামলাটি শুধু আমার মক্কেলকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য দায়ের করা হয়েছে।