দলগুলোতে ৩৩ভাগ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান উঠে যাচ্ছে

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান উঠে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে এই শর্ত পালন করার জন্য ইসি এর আগে আইন করলেও এখন নিজেরাই তা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেই এই আইন করা হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন

কোনো আইন পরিবর্তন করতে হলে এর আগে মতামত নেয়া হলেও এবার চলছে গোপনীয়তা। তবে ইসি সচিব দাবি করছেন আইন চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হবে।

জানা গেছে, এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন গতকাল সোমবার (১ জুন) কমিশন বৈঠক করেছে। বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ এর এ সংক্রান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও আরপিও বাংলায় করা হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা নিজেই নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। আর এটি শুধু কমিশনারদের দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইসির কোনো আইন কর্মকর্তা পাননি।

জানা যায়, ২০০৮ সালে নিবন্ধনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ শতাংশ। আইনে গত ১২ বছরে রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী নেতৃত্ব বাড়ার হার ১০ ভাগেরও নিচে। ফলে ইসির বেঁধে দেয়া বাকি সময়ের মধ্যে আরও ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব অনিশ্চিত। এজন্য আইনের ধারাটি বহাল থাকলে শর্ত ভঙ্গের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

আওয়ামী লীগ তাদের সর্বশেষ সম্মেলনে ২০২০ সালের মধ্যে কমিটির সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার শর্ত শিথিল করেছে। তাই আইনটি পরিবর্তন করছে ইসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, আলোচনা করে নতুন আইনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তাবলী সংযোজন বা বিয়োজন হবে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সরাসরি বা চিঠি দিয়ে কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিভাবে সংলাপ হবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।