প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে নিরন্তর চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংক্রমণ প্রবণ জীবাণুর শঙ্কা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশ। গেলো দু’মাসে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতও সহ্য করেছে দেশবাসী। মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে করোনা যুদ্ধে উত্তরণের জন্য, বিরতিহীন শ্রম দিচ্ছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা চতুর্থ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথা ছিলো জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ঘনঘটায় চলতি বছর সমৃদ্ধির নতুন সোপানে উঠবে দেশ। কিন্তু করোনার অদৃশ্য ঝড় পাল্টে দিচ্ছে অনেক কিছুই।
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দুই মাসের সাধারণ ছুটির কবলে গৃহবন্দিত্ব বরণ করতে হয় দেশবাসীকে। কাজ হারিয়ে জীবিকার অভাবে বিপন্ন লাখো মানুষকে বাঁচাতে বহুমাত্রিক সহায়তার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী।
অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক দিক সামলাতে গণভবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী চালিয়ে যাচ্ছেন সার্বিক দাপ্তরিক কর্মকান্ড। তাঁর নজরদারিতে বাদ যায় নি চিকিৎসকের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সংকট মেটানো পর্যন্ত।
এই করোনা সংকটের মধ্যেই মাঠের ধান দ্রুত সংগ্রহের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। কৌশলী এই পদক্ষেপে কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ফসল উঠেছে কৃষকের ঘরে। ধান উৎপাদনেও বৈশ্বিক সূচকে এক ধাপ এগিয়ে যায় দেশ।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের যুদ্ধে যখন প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের তালিকা, তখনই আঘাত এলো ঘূর্ণিঝড় আম্পানের। দিশেহারা লাখ লাখ উপকূলবাসীকে নিরাপদে রেখে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
ত্রাণ বিতরণে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধেও উচ্চকণ্ঠ সরকার প্রধান।
করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে সামগ্রিক অর্থেই রাজনীতি, অর্থনীতিসহ পরিবর্তিত বাস্তবতার নতুন ধারা চালু হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। মানুষের পাশে থেকে মহামারীর শেষ পর্যন্ত দেশের সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নিরন্তর চেষ্টায় দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন