৩৬ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার-হত্যা মামলা সিআইডির

অপরাধ

লিবিয়া ট্রাজেডি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা ও আরও ১১জন আহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক(এসআই) শাহিন উদ্দিন। তিনি জানান, লিবিয়া ট্র্যাজেডির পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার এবং আঘাতে খুনের অভিযোগে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক(এসআই) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৪।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়া ট্র্যাজেডিতে জড়িত ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগীর বাবা মান্নান মুন্সি।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পল্টন থানায় দায়ের করা মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি উত্তর বিভাগ।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, আলোড়িত করেছে পুরো বিশ্বকে। ওই ঘটনার পর তদন্ত ও অভিযানে নামে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বুধবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে সেন্টু শিকদার ও নার্গিস আক্তার নামে দুই মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও সিআইডি।
এ ব্যাপারে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সারা বাংলাদেশে মামলা হয়েছে ৯টি। ওইসব মামলায় এখন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার হলেও বেশিরভাগ মানবপাচারকারী পলাতক রয়েছেন।
পল্টনে সিআইডি কর্তৃক দায়ের করা মামলার পাশাপাশি অন্যান্য মামলাও সিআইডি ছায়া তদন্ত করছে। তদন্তে মানব পাচারকারী হিসেবে যাদের তথ্য উপাত্ত ও নাম উঠে আসছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলার দ্রুত চার্জশিট আদালতে দাখিল করবো এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট জারির পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে।
তিনি বলেন, নিরীহ মানুষের জীবনের বিনিময় যে অর্থ-সম্পদ তারা করেছেন এই সম্পদ তারা ভোগ করতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করবো। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে সিআইডি। বড় বড় যত সঙ্ঘবদ্ধ মানবপাচারকারী রয়েছে ইতোমধ্যে তাদের নাম আমরা সংগ্রহ ও ইনকোয়ারি শুরু করেছি। দেশি কিংবা বিদেশি যত প্রভাবশালী মানবপাচারকারী হোক না কেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিজ্ঞাপন