দীর্ঘ আড়াই মাস পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য শুরু

অর্থনীতি বানিজ্য সারাদেশ

বেনাপোল প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস আমদানী রফতানী বানিজ্য বন্ধ থাকার পরে রোববার ৪ টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পুনরায় দু দেশের মধ্যে আমদানী বানিজ্য শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহষ্পতিবার দু‘দেশের প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে এক বৈঠকের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ বিকাল থেকে দু দেশের মধ্যে আমদানী বানিজ্য শুরু হলো। আমদানী বানিজ্য শুরু হওয়ায় দু’দেশের বন্দর এলাকায় প্রান চানচল্যতা ফিরে এসেছে। আজ এ বন্দর দিয়ে ২৪ টি পন্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৪ এপ্রিল আমদানি-রপ্তানি চালুর অনুমোদন থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এছাড়াও বনগাঁর সিন্ডিকেটের কারণেও বাণিজ্যে জটিলতা দেখা দেয়। পরে রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়ায় স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির ওপর চাপ সৃষ্টি করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকার শ্রমিকসহ ট্রাক মালিক ও চালকরা। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে বৈঠকে বসে আমদানি-রপ্তানি চালু করতে রাজি হয় ভারতের প্রশাসনসহ বনগাঁ সিন্ডিকেট।


বিজ্ঞাপন

করোনার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা থাকায় সীমান্ত অতিক্রমের আগেই গাড়ি চালকদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও ট্রাকগুলো উভয় দেশে স্যানিটাইজ করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। ফেরার সময়ও চালকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে ওপার সুত্রে জানা গেছে। সেই সাথে দ্রুত পণ্য খালাস করে দিনে দিনে ট্রাকগুলো ফিরে যাবে।
প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার মে. টন পণ্য আমদানি হচ্ছে। যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী, তৈরি পোশাক, শিল্পকারখানা ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, খাদ্যদ্রব্য, চাল, পিয়াজ, তুলা, বাস, ট্রাক ট্যাসিস, মটর সাইকেল এবং পার্টস ও টায়ার রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সাদা মাছ, ব্যাটারি, ওভেন গামেন্টস, নিটেড গামেন্টস, নিটেড ফেব্রিকস, কর্টন র‌্যাগস (বর্জ কাপড়) উল্লেখযোগ্য।