মতিউরের সহযোগী জলিলের দাপট

অপরাধ রাজধানী

সাংবাদিককে লকাপে ঢোকানোর হুমকি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিককে লকাপে ঢোকানোর হুমকি দাতা মতিউরের সহযোগী জলিল একের পর এক দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। এবিষয় যে সব সংবাদকর্মী সংবাদ করেছেন তাদের সাথেও এক ধরনের প্রতারণা আশ্রয় নিয়েছেন বলে যানা গেছে।
এ দিকে রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী থানার এসআই মতিউর রহমান এর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ চুন থেকে পান খসলেই বাদ যায় না সাংবাদিকও। গতকাল রাত আনুমানিক ১২.৪৫ মিনিট সংবাদ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক ইমনকে লকাপে ঢোকানোর হুমকি দেন। এ বিষয় সাংবাদিক এনামুল হক ইমন উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সাংবাদিক এনামুল হক ইমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার প্রতিবেশী জামাল বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক জামাল আমাকে অবহিত করেন যে শাহ আলী থানা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল জলিল ও আমিনুলসহ অজ্ঞাত কতিপয় ব্যক্তিবর্গ। শনিবার ও রোববার জামাল বাণিজ্য ভান্ডার শাহআলী থানাধীন কাঁচাপাকা ফলের আড়তের মালিক জামাল ও তার কর্মচারীদের মারধর করেন আব্দুল জলিল ও আমিনুল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় জামাল ও তার কর্মচারীদেরসহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসা নিয়ে আসার পরে আমি এবং জামাল শাহআলী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাই। এবং কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই সালাউদ্দিনকে আমরা অভিযোগের বিষয়টি জানাই। পরবর্তীতে ডিউটি অফিসার সালাউদ্দিন আমাদের সামনেই বর্তমান শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি তিনি জানান। এসআই মতিউর পুরো বিষয়টি না শুনেই জামালকে লকআপে ঢুকাতে বলেন। ডিউটি অফিসার সালাউদ্দিনকে এবং এসআই মতিউর বলেন এই বিষয় নিয়ে যদি সাংবাদিক বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাকেও লকাপে ঢোকানো হবে। ওই সময় আমি এসআই মতিউর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাই কিন্তু তিনি না শুনে অকথ্য ভাষায় আমার সাথে কথা বলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মিরপুর জোন মোস্তাক আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি। এসআই মতিউরের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য করোনাভাইরাস এ শাহ আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ সালাউদ্দিন আহমেদ, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন অসুস্থ থাকায় এসআই মতিউর রহমান থানার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান।


বিজ্ঞাপন