রেড জোন চিহ্নিত

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী ঢাকা রাজধানী সারাদেশ স্বাস্থ্য

*ধাপে ধাপে লকডাউন
*থাকবে সাধারণ ছুটি
*আক্রান্ত ছাড়াল ৮৭ হাজার

 

মহসীন আহমেদ স্বপন : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আরো কিছু রেড জোন এলাকা চিহ্নিত করেছে। এসব এলাকার মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সাধারণ ছুটির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো কিছু এলাকাকে রেড জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে সেসব এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না এবং বাইরে থেকে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
সাধারণ ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মূলত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রেড জোনের আরও কিছু এলাকা চিহ্নিত করেছে। সেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবে। আর সেসব এলাকার বাসিন্দাদের খাদ্যসহ সকল প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধাপে ধাপে লকডাউন করা হবে।
‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকা
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড এবং তিন জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের সভায় এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়। সভার একটি কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার মিলে এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করবেন।
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে।
ঢাকার বাইরে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার একাধিক উপজেলাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল গ্রুপের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি
উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি
দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে: যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।
চট্টগ্রাম সিটি
চট্টগ্রাম সিটির ১০ এলাকাকে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।
আরও তিন জেলা
ঢাকার বাইরের তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সব কটি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে সেসব এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই অনুপাত লাখে ১০।
এ দিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ১৭১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ১৭১ জনে। রোববার দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি সংযোজিত একটিসহ মোট ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৫০৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ এক হাজার ৪৬৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩২ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ১৭১ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯০৩ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৮ হাজার ৩৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ২৭ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের। ২০ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১১ জন বাসায় এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব নয় জন, সত্তরোর্ধ্ব দুইজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন।
গত শনিবারের (১৩ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ১৩ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৮৫৬ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৪৬ জনের এবং সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড তিন হাজার ৪৭১ জনের। সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের দুটি রেকর্ডের কথাই জানানো হয় গত ১২ জুনের বুলেটিনে।
রোববারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৭১২ জনকে এবং এ পর্যন্ত আসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৫ হাজার ২৮১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন নয় হাজার ৭৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭৯২ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৪৩৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭৬৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬২২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৪ জন।
দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৪ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৪ জনের।
বিশ্বে একক দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৪২ হাজার ২২৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্ত ও উভয় মৃত্যু উভয়- বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ৭৯১ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান পাঁচ নম্বরে। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৬৬২ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি, তবে আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান সাতে। ইতালিতে রোববার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৩০১ জনের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপের আরও দুই দেশ- ফ্রান্স ও স্পেন। মৃত্যু বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্স আক্রান্ত বিবেচনায় আছে ১৩ তম স্থানে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৩৯৮ জনের। আর মৃত্যু ও আক্রান্ত উভয় দিক দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকা স্পেনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৩৬ জনের।
য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকোতেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৯০ জন আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৮৭২ জনের।
আক্রান্ত বিবেচনায় রাশিয়ায় মৃত্যুর হার বেশ কম। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে রোববার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজার ১২৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮২৯ জনের।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্ত বিবেচনায় বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে আসা ভারতে রোববার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ৬২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৯৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।


বিজ্ঞাপন