ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনের মাধ্যমে “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স” বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্ত্বা বিষয়ক একটি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)” আয়োজন করে। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রউঊঅ প্রকল্পের “এডুকেশন ফর ন্যাশন” এর আওতায় সকাল ১০টায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণটি শুরু হয়।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ। তিনি বলেন যে, ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনে ভূমিকা রাখবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে ইতোমধ্যে এই ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বাংলাদেশে ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করছে। তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের আটকে রাখতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণার্থীরা এখন অনলাইন প্রশিক্ষণে অভ্যস্ত হচ্ছে। আমরা যতবেশি দৈনন্দিন কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারব ততবেশি সার্বিক উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাবে। তথ্য-প্রযুক্তি আমাদের মৌলিক চাহিদায় পরিনত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স” এর গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। এই প্রশিক্ষণটি প্রশিক্ষণার্থীদের ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সম্পর্কে আরো উৎসাহিত করবে। অনলাইন অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন রউঊঅ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক। তিনি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে জানান যে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজন আছে। “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স” বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্ত্বা’র ওপর বাংলাদেশের তরুণদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। আইডিয়া প্রকল্প থেকে আগামীতেও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সম্পর্কে আরো প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করা হবে।
এই প্রশিক্ষণটিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে সংযুক্ত হন জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটি’র সহযোগী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতিকুর রহমান আহাদ, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমান এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল হুদা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং, কোভিড-১৯ এর ওপরে এআই বেইজড্ রিসার্স এবং কম্পিউটার ভিশন ও আইওটি সেন্সর বেইজড্ অ্যাক্টিভিটি রিকগনিশন (হেল্থ কেয়ার এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন) সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবার জন্য এই পুরো আয়োজনটি “স্টার্টআপ বাংলাদেশ” এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। সিলেট বিভাগের প্রায় ৫০ জনের অধিক প্রশিক্ষণার্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি একটি বিশেষ প্রকার প্রযুক্তিগত কৌশল যার মাধ্যমে কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয় যার ফলে কম্পিউটার মানুষের মত ভাবতে পারে। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)” হল মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি বিশেষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমান পৃথিবী প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিরও ব্যবহার বাড়ছে। “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)” এর ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবারও সম্ভাবনা আছে। এ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই আইসিটি বিভাগের রউঊঅ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।
আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) কাজী হোসনে আরা, প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির, প্রকল্পের টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট মেহেদী হাসান ভূঁইয়া, প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক মনিরুল ইসলাম, কমিউনিকেশনস্ বিষয়ক পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাস-সহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকগণ, বিসিসি ও আইসিটি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন