ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম মানব কল্যাণ সংস্থার ত্রাণ বিতরণ

জাতীয় সারাদেশ

নিজস্বক প্রতিবেদক : দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম মানব কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫ জুন বিকেলে নরসিংদী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। দেশের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম মানব কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ উন্নয়নকর্মী, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব, দানশীল ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম নিয়মিত করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন।
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া বড় বাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম ব্যারিস্টার জাহানারা ইমামের। যিনি হতদরিদ্র মানুষের মর্মমূলে লুকায়িত ব্যাথা এবং মানব মনের নিগূঢ় আবেদন সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন নিজ জেলায়। তিনি ধার্মিক ও আল্লাহ প্রেমিক। মানব সেবাই যার মনোবাসনা। যিনি তার নিজ এলাকায় একজন প্রাণের মানুষ হিসেবেই সু-পরিচিত।
দীর্ঘ সময় লন্ডনে বসবাস করে শুধু জন্মভূমির টানেই দেশে ফিরে এসেছেন জাহানারা ইমাম। নিয়মিত কাজ করে চলেছেন অসহায় দরিদ্র মানুষদের জন্য। তার নিজ উপজেলায় যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেন না। একটি ঘরের জন্য পরিবার পরিজনদের নিয়ে যারা সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন না। যে সকল হতদরিদ্র মানুষ চিকিৎসার অভাবে ভোগেন, তাদের পাশে সবসময় দাড়িয়েছেন ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম। মসজিদ, মাদ্রাসা, পাকাঘর, চিকিৎসা, টিউবয়েল, নগদ টাকা এবং বিদেশে কর্মস্থানসহ বিভিন্নভাবে স্থানীয় গরীব ও অসহায়দের সহায়তা করে আসছেন অনেক আগে থেকেই।
জাহানারা ইমাম নিজ গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একটি দ্বিতল একাডেমিক ভবন করে দিয়েছেন। যাতে রয়েছে-আধুনিক বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরী, শিক্ষক মিলনায়তন, অফিস কক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ কর্মচারীদের কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধনী ব্যক্তিদের নিজ উদ্যোগে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাড়াতে এবং এলাকার উন্নয়নে সহায়তা করতে। ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রীর কথায় উজ্জীবিত হয়ে নিজ গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছেন তিনি। এ জন্য বেশ প্রশংসিতও হয়েছেন নিজ এলাকায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একাডেমিক ভবন, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা করে দিয়েছেন এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষেরা সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন এবং শিশুরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিও প্রদানও করেছেন তিনি। এখানেই ক্ষান্ত হননি এই গরীব মানুষের প্রিয় ব্যক্তিটি। তিনি আরো কাজ করে যেতে চান মানুষের জন্য।
তিনি বলেন, জনসেবা আমার একটি নেশা। তাই আমি সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় থাকতে চাই। রানীর দেশে থেকেও আমি মানুষের ভালোবাসার জন্য দেশে ফিরে এসেছি। আমি চাই; আমার এলাকার আরো উন্নয়ন। আমি আমার নিজ জেলার মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেন; তাহলে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আমি আমার এলাকায় মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মহিলাদের জন্য জিম, সরকারি ইউনির্ভাসিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত, বিনোদনের জন্য সিনেমা হল, খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম, অডিটরিয়ামসহ বেকারত্ব দূর করার জন্য ইন্ড্রাস্টি করতে চাই। যাতে আমার এলাকার মানুষ সুন্দরভাবে চলতে পারে।বঙ্গবন্ধু সম্মাননা স্মারক,শেরে বাংলা শাইনং পার্সোনালিটি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড, এজাহিকাফ গোল্ড অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন