রাষ্ট্রদূত বললেন বাতাসের কথায় কোন তদন্ত হয় না

অপরাধ আইন ও আদালত আন্তর্জাতিক

পাপুল কান্ড

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুয়েতে সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল গ্রেফতারের দুই সপ্তাহ পরও কোন তথ্য নেই বাংলাদেশ সরকারের হাতে। আনুষ্ঠানিক কোন নথি না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। দেশটিতে পাপুলের অবৈধ কর্মকা-ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ছিল পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অপেক্ষা। অবশেষে গত ৬ জুন কুয়েতের আল মুসরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল। এরপর তদন্তে উঠে আসতে থাকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
৫টি অভিযোগে পাপুলের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। উঠে এসেছে দেশটির সরকারের সাথে তার ৩৪টি চুক্তির কথা। কুয়েতে তার ৪ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ৯ হাজার কর্মচারী। পাপুলের সাথে ঘনিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়েছে দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের ২ কর্মকর্তা, একজন কর্ণেল ও এক নারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে ইউরোপ ও গাল্ফ ব্যাংকে ব্যাপক অর্থ পাচারের। কুয়েতিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যাপারেও প্রশ্ন অনেক।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। তাছাড়া সরকার আমাদের কিছু জানাচ্ছে না। কর্মচারী জড়িত এই সেই, এগুলো মুখরোচক কথা, বাতাসের কথা। কিসের তদন্ত হবে? বাতাসের কথা থেকে কোন তদন্ত হয়?
কুয়েতে ব্যবস্থা নেয়া হলেও দেশে নেই দৃশ্যমান তৎপরতা। পাপুলের স্ত্রী, কন্যা, শ্যালিকার সম্পদের হিসেব চেয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। তবে কুয়েত থেকে কোন তথ্য না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, কুয়েত থেকে কিছু বলেও না, উত্তরও দেয় না। তথ্য না পেলে আমি কি করবো বলুন? সরকারিভাবে কুয়েত সরকার জানাতে হবে যে এই এই অপরাধ করেছেন। তারা না জানালে আমরা কেমন অ্যাকশন নেব?
পাপুল বাংলাদেশের একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য এবং বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই- এ দুটি বিষয় সামনে রেখে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করেছে দেশটির আদালত।


বিজ্ঞাপন