বিএনপির আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী

এইমাত্র রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চতূর্থ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

কনফারেন্সে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, তিন মাসের বেশি সময় ধরে দেশে প্রায় সবকিছু বন্ধু। এখন সীমিত আকারে খুললেও সবকিছু চালু হয়নি। সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একইসাথে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশের কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের আশঙ্কা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারি, পরম সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদে আমরা এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

সরকার সবার জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।

চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এরমধ্যে কিছু বেড খালিও আছে। অর্থাৎ এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরো ভালোভাবে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য আমরা সর্বোত্তভাবে চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তারাও কষ্ট করে অনেক কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেনারী বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা করে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদেরকে অনুসরণ করবে বলে আমি আশা করি।

এসময় চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং প্রয়োজনে লাশ দাফনের কাজে এগিয়ে আসা মানুষ ও সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, চিহ্নিত এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন, আমাদেরকে অবশ্যই কঠোরভাবে সেগুলো মানতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে নিজেদেরকে, নিজের পরিবারকে, নিজের কাছের জনদেরকে সুরক্ষা দেয়া, সর্বোপরি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।