সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের নজর এড়িয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সরকারী জায়গায় দখল চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা চালিয়ে আহত ও পঙ্গুর করার অভিযোগ রয়েছে। শেরপুর জেলার নকলার পাঠাকাটা ইউনিয়ন এলাকায় এ কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে।
সন্ত্রাসী বাহিনীদের জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। শুধু তাই নয়, এলাকার ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির শিকার হয়ে তাদের দোকানপার্ট পর্যন্ত বন্ধ করে রাখছেন। আর সারাক্ষন এলাকাবাসি আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে সন্ত্রাসীরা ইয়াবা, গাজাঁ ও ফেনসিডিল কেনা-বেচা করছে। সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক বার অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তা কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তারা বলছে, পুলিশকে টাকা দিয়েই তারা এলাকায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
জান গেছে, গত ১ লা রমজানে পাঠাকাটা ইউনিয়নের সালনা গ্রামে উজ্জল, গুলজার গ্রুপের সঙ্গে সাজু গ্রুপের তুমুল সংঘষ হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন। পরে তিনি একপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে । পরে খতিগ্রস্থদেরকে ২০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকী টাকা গুলো তিনি আত্তসাধ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ মে উক্ত ইউনিয়নের পাচ কাহনিয়া গ্রামে রোপনদের সঙ্গে তার ফুফাতো ভাই, বোনদের মধ্যে পারিবারিক ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষে মাঝে সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয় হয়। গত ২৭ মে ১৪ জনকে আাসামী করে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১৮। কিন্তু পুলিশ এখ নপর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। ফলে মামলার আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগিরা মামলার আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন