মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত নড়াইলের ডিসি-এসপি

সারাদেশ

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল : মহামারি করোনা সংক্রমণকালে সবচেয়ে বেশি জনগণের আস্থা,বিশ্বাস,ভালোবাসা,অর্জন করতে সক্ষম বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী,নড়াইল জেলায় ও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি বা নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করেছেন নড়াইল বাসির জন্য।
নড়াইলে মহামারী করোনা ভাইরাস বিস্তারের শুরু থেকেই গণমানুষের পাশে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে মানবিক পুলিশ হিসেবে প্রসংশিত হয়েছে নড়াইল জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা,স্বাস্থ্যসুরক্ষা থেকে শুরু করে জেলা পুুলিশ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো,জরুরী এ্যাম্বুলেন্স সেবা,করোনায় মৃতদের দাফনে সহয়তা করা সহ নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছে নড়াইল জেলা প্রশাসক সহ জেলা পুলিশ নড়াইল।
নড়াইলে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর সরাসরি তত্বাবধানে জেলায় কর্মরত প্রতিটি পুলিশ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সকল সদস্য নিরলসভাবে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে জণগণের কল্লানে।
দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে নড়াইল জেলা পুলিশ,করোনার এই সংকট মুহুর্তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নড়াইল পুলিশ লাইনস সহ বিভিন্ন জীবাণুনাশক টানেল তৈরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার।
বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে যেয়ে করোনায় আক্রান্ত পুরুষ ও নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য আলাদাভাবে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনার এই ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতিতেও নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে অসহায় দুস্থ, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে একাধীক বার খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে জেলা পুলিশ।
নিজেদের বেতনের অর্থ দিয়ে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জেলার প্রতিটি থানায় মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন,নড়াইর জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার এ ছাড়াও বিদেশ ফেরত বা দেশের অন্য জেলা থেকে আগতদের বাসায় থাকা (কোয়ারেন্টাইন) নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন নড়াইল জেলা পুলিশের সকল টিম।
জেলায় করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা,তাদের খাবারের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সার্বিক সহাযোগিতা করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
জেলার সীমান্তে আন্তঃজেলা পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে বাইরের জেলা থেকে প্রবেশ বা বাহির নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
জনসচেতনতায় কাজ করছে নড়াইল জেলা পুলিশ
মহামারির মধ্যেও নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম(বার) নিজেই মাইক হাতে রাস্তা,ঘাট,বাজার,দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জনসাধারণকে সচেতন করছেন।
গত মার্চ মাসে দেশে করেনা ভাইরাস মহামারি সংক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নড়াইল জেলা পুলিশ কয়েকটি জরুরী কর্মসূচি হাতে নেয়।
নড়াইল জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,জেলায় দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্যদের করোনামুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম(বার) নিজেই বিভিন্ন স্থানে যেয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন।
নড়াইল জেলায় যে সকল ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত ও করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে তাদের বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন রাখতে পুলিশ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে কাজ করে চলেছে বলে হাজারও প্রশংসা রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নড়াইলে খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপঁন করেছেন।
বিট পুলিশিং কার্যালয়ে দুর থেকে কেউ করোনা ভাইরাসের সময় দুর দুরান্ত থেকে পুলিশি সেবা নিতে সদর থানায় আসার দরকার হবে না তারই ধারাবাহীকতায় ইউনিয়ন ইউনিয়ন পুলিশি সেবার ব্যবস্থ্যা করছেন,ইউনিয়ন বাসি তার নিজ ইউনিয়নে পুলিশি সেবা পাবে এবং সেখানে যেকোন অভিযোগ করতে পারবেন বিট পুলিশিং কার্যালয়ে এমটাই করেছেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।করোনার মধ্যেও প্রসূতি মা, রাতের আধারে অসুস্থ্য হয়ে পুলিশে খবর দিলে ওই অসুস্থ্য ব্যক্তিকে জরুরী ভাবে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পুলিশ নড়াইল।
এসব মানবিক কাজ করে নড়াইল জেলা পুলিশ সর্বস্তরের জনগণের নিকট ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন