জবর দখলের পয়তারা

অপরাধ আইন ও আদালত

লকডাউনে থেমে নেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের সাধারণ ছুটি ও বৈশ্ব্যয়িক মহামারি করোনা ভাইরাসের দীর্ঘ লকডাউন সময়ে মানুষ যখন মরণ-বাঁচনের সন্ধিক্ষণে যমে-মানুষে টানাটানি চারিদকে যখন হাহাকার ঠিক তখনই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের থেমে নেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জবর দখলের পয়তারা। এরকম ঘটনাটি ঘটছে কামরাঙ্গীর চর হুজুরপাড়া থানার পিছনে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আবেদন ও বিশ^ত্ব সূত্রে জানা যায়, যে সাংবাদিক শেখ আনোয়ার বংশানুক্রমিক তিন পুরুষ ধরে নবাবচর মৌজার সিএস ও এসএ খতিয়ান নং ৫৩, দাগ নং-১৬৩ যার রেকর্ডীয় মালিক সাংবাদিক আনোয়ার এর দাদা মৃত. আব্দুল আলী। মাঠ জরীপের সময় দখলসূত্রে বসবাসকারি সাংবাদিক শেখ আনোয়ার পেশাগত কারণে উপস্থিত না থাকায় তার নামে মাঠ জরিপ না হওয়ায় শেখ আনোয়ার রেকর্ড সংশোধন করার জন্য মহামান্য ৩য় সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা নং- ০৩/২০১৫ইং যা চলমান।
সরকারের সাধারণ ছুটি ও বৈশ্ব্যয়িক মহামারি করোনা ভাইরাসের দীর্ঘ লকডাউন সময়ে মানুষ যখন মরণ-বাঁচনের সন্ধিক্ষণে যমে-মানুষে টানাটানি, চারিদিকে যখন হাহাকার ঠিক তখনই এলাকার সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু অহিদুজ্জামান খান পিতা-আনোয়ারুল হক, কামরুজ্জামান পিতা-মৃত মনিরুজ্জামান, বশির সিকদার পিতা-মোফাজ্জ্বল সিকদার, ওয়ালিউল্লাহ্ পিতা-মৃত. আহমাদুল্লাহ্, সর্ব সাং পশ্চিম আশ্রাবাদ, থানা কামরাঙ্গীর চর, জেলা- ঢাকা। যাদের পেশাই হলো অপরের জমি জবর দখল করে কাগজপত্র তৈরী করে মোটা মূল্যে বিক্রি করা। এদের আড়ালে রয়েছে বেশ ক্ষমতাবান গডফাদার। সময় সুযোগে এই গডফাদার প্রকাশ্যে আসে। না হলে তারাই দখল করে। উল্লেখিত সংঘবদ্ধচক্র দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জমি আত্মসাৎ করার জন্য উঠেপরে লেগে আছে বলে জানান আনোয়ার। সাধারণ ছুটি ও বৈশ্ব্যয়িক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসনসহ দেশের সর্বস্তরে যখন নিরব ঠিক তখনই তারা ও তাদের গডফাদার এর পরিচয়ে মৌখিক ও ফোনে জমিটুকুর দখল বিনা বাক্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বলছে জমির দখল ছেড়ে কথা বলতে। নইলে বিভিন্ন রকমের মামলা-হামলাসহ প্রাণে মেরে ফেলবে। শুধু তাই নয় বউ-বাচ্চাসহ পরিবারের কেউ রেহায় পাবে না। তারা শেখ আনোয়ারকে সময় বেধে দিয়ে বলে প্রাণের মায়া থাকলে ভালই ভাল চলে যা। তারা বলে, থানা-পুুলিশ, এমপি ও প্রশাসন আমার সরকারের। আমাদের লোক আছে। আর তুমি এখনো সময় আছে, ভেবে দেখ।
সাংবাদিক শেখ আনোয়ার বলেন, দাদা তারপরে আমার বাপ, আমার বাপের পরে আমি এই জমিতে বাস করছি, কেউ কোনদিন একশতক জমিও কারও কাছে বিক্রি করি নাই। তারপরে এ কেমন জ্বালা। সে বলে আমার মা ৯০/৯২ বছর বয়স এই জমিতে সে দীর্ঘ সত্তর বছর বাস করছে। সে কোনদিন বলতে পারেনি যে এই জমি কারও নিকট বন্ধক আছে। তাই আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উল্লেখিত ভূমিদস্যু, দখলবাজ, সন্ত্রাসীদের হাত হতে আমার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী-সন্তানদের জান-মাল এর নিরাপত্তার দাবী জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন