রাধিকাপুর-মোংলা রেল সংযোগ হচ্ছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

জাতীয় স্বাস্থ্য

দিনাজপুর প্রতিনিধি : ভারতের রাধিকাপুর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতের রাধিকাপুর থেকে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর-হার্ডিঞ্জ রেল সেতু-খুলনা হয়ে মোংলা পর্যন্ত রেল লাইন যাবে। সোমবার দিনাজপুরের বিরল রেল স্টেশনের উদ্বোধন ও বিরল স্থলবন্দরের সাথে রেল সংযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতা পরিদর্শন শেষে এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, মোংলা বন্দরে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি জাহাজ আসা যাওয়া করে। এ বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ভারত আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। এর ফলে ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা হবে।
বিরল স্থলবন্দরের বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিরল স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০০৮ সালে দিনাজপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরলে স্থলবন্দর হবে। ইশতেহার বাস্তবায়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সেসময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছিলেন, রাধিকাপুর-বিরলে রেল যোগাযোগের বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় বিরল থেকে রাধিকাপুর ডুয়েল গেজ রেলপথ স্থাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনার সময়ে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন যখন থমকে দাঁড়িয়েছে; বাংলাদেশ তখন এর ব্যতিক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করোনাও মোকাবিলা করে যাচ্ছি। উন্নয়ন-অগ্রগতিও এগিয়ে নিচ্ছি। এর মধ্যেই আমাদের বাজেটও পাস হয়েছে।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।


বিজ্ঞাপন