এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

অন্যান্য বিবিধ সারাদেশ

মো. নিজাম উদ্দিন খান নিলু : করোনার প্রখর খরতাপ পেরিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি আগামীর পথে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীন সমৃদ্ধ বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছিলো। তবে অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও অনাকাংক্ষিত বৈশ্বিয়ক মহামারী সে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার কাল হয়ে দাড়িয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তার অপার করুণা ও রহমতে করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতঃ জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুবিচক্ষণ দুরদর্শীতা ও কঠোর নজরদারীর কারণে বিশ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতির তুলনায় আমরা যথেষ্ট নিরাপদ রয়েছি।
নড়াইলের কিংবদন্তী ও নড়াইল-২ আসনের শোভিত সংসদ সদস্য জনাব মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা মহোদয়ের অান্তরিক প্রচেষ্টা ও বিনিদ্র তদারকিতে নড়াইলের সুযোগ্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা করোনা মহামারীর প্রারম্ভ থেকেই সর্বচ্চো প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছি।
কঠোর সামাজিক নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করণের কারনে ভুক্তভোগী মানুষদেরকে মানবিক সহযোগীতা প্রদান সহ সংক্রমন প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা সহ উদ্ভুদকরণ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সহ কঠোর নজরদারী ও স্বেচ্ছায় সহযোগীতা করতে আমরা সর্বাত্বক নিবেদিত রয়েছি। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে নিজেদের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করেও মান্যবর অধিনায়কের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের সর্বাত্বক প্রচেস্টা সত্বেও ভৌগলিক কারন ও সামান্য কিছু মানুষের অবহেলা ও দৈনিন্দন চাহিদা নিরুপনের তাগিদে সামাজিক বিধি পালনে অসহযোগীতা করায় জেলার বিশেষতঃ লোহাগড়া উপজেলা আজ করোনার সংক্রমনের একটি শঙ্কাময় অবস্থানে দাড়িয়েছে, যা আগামী দিনের জন্য নিঃসন্দেহে ভয়ানক হতে পারে।
সাধ্যমাফিক প্রচেস্টা সত্বেও লোহাগড়া উপজেলার সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রন করা দুরহ হয়ে পড়ায় করোনা সংক্রমনের বাস্তব ভয়াবহতা উপলব্ধি করে নড়াইল -২ আসনের সুযোগ্য সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা মহোদয় নিজ উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি -সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি সহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক সমাজের প্রতিনিধিগনের সমন্বয়ে লোহাগড়াকে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকার আহব্বান জানান।
স্থানীয় বরেন্য ও দ্বায়িত্বশীলগণের সঙ্গে আমি মাননীয় এমপি মহোদয়ের আহব্বানে লোহাগড়াতে অবস্থান করে আমার দলীয় ও সাংগঠনিক কাঠামোকে এমপি মহোদয়ের আহব্বান পালনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করি।
বর্তমানে লোহাগড়া পৌর এলাকাতে জনগনের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহনে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গঠিত কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবীদের নজরদারীতে কঠোর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, যা বর্তমান পেক্ষাপটে বিকল্পহীন ছিলো।
আমরা সকলেই অবগত আছি যে আমাদের প্রান প্রিয় সংসদ সদস্য স্বপরিবারে করোনা সংক্রমিত হয়ে শঙ্কার মধ্যদিয়ে দিনাতিবাহিত করছেন। তার মাঝেও তিঁনি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে স্বপ্রনোদিত ভূমিকা নিয়ে অনণ্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আবারো সকলকে নিবিড় দ্বায়িত্ববোধ, ভালোবাসা ও আস্থার বন্ধনে আবদ্ধ করলেন।
আমরা বিশ্বাস করি ক্যাপ্টেনের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবে লোহাগড়াবাসীর পাশাপাশি গোটা জেলার মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন এবং সচেতন নাগরিকের ন্যায় আচরণ প্রদর্শন করবেন।
ইনশাল্লাহ, আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা (এমপি) মহোদয় অতি শীঘ্রই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এবং আগামীর পথে সম্মিলিত হয়ে আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবেন।


বিজ্ঞাপন

জীবন ও জীবিকার প্রশ্নে তুলে নেয়া হয়েছে লকডাউন। নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বর্তমানে চলছে সব ধরনের প্রয়োজন্যয় কার্যক্রম। এবার আরও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে জনগণ, দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের পাঁচটি নির্দেশনা প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন মান্যবর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিঁনি নিরাপত্তা অনুসরণ করে স্বাভাবিক জনজীবন অব্যাহত রাখতে যে
নির্দেশনা গুলো দিয়েছেন-
১. অফিস আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সংক্রমণ রোধের কার্যপদ্ধতি অনুসরণ। ২. গণপরিবহনে চলাচলের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
৩. জনসম্মুখে সব সময় মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলা। ৪. দলীয় নেতাকর্মীরা নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং তা প্রতিপালনে জনগণকে সচেতন করবেন।
৫. স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা অঞ্চলভিত্তিক তদারকির মাধ্যমে সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণেও ভূমিকা রাখবেন। আপদকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে জানিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘করোনা প্রতিরোধে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ করে করোনা পরবর্তি অর্থনৈতিক উত্তরণের লক্ষে সরকারের পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও কিছু কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে শৈথিল্য প্রদর্শন করছে, যা সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবহেলা নিজের জন্য শুধু নয়, পরিবার, সমাজ তথা অন্যদের জন্যও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
দেশে করোনার ক্রমঅবনতিশীল পরিস্থিতিতে সরকার সংক্রমিত এলাকা এবং এর নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে এলাকাভিত্তিক বা জোনে বিভক্ত করার বিষয়টি ভাবছে। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের পাশে ছিলো এবং আছে সবসময়। ক্রমঅবনতিশীল এ পরিস্থিতিতে সরকার সংক্রমিত এলাকা এবং এর নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে এলাকাভিত্তিক বা জোনে বিভক্ত করার বিষয়টি ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে কাজ করছে। কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।
‘জনগণের ঘনত্ব, সংক্রমণের মাত্রা, রোগীর সংখ্যা, পার্শ্ববর্তী এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেস্ট ফ্যাসিলিটি, চিকিৎসা সুবিধাসহ নানা বিষয় এর সাথে জড়িত। বিস্তারিত পরিকল্পনা পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাই করে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংকট সমাধানে বিরোধী দলগুলো নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে, করোনা তহবিল গঠন, ত্রাণ কার্যক্রম, করোনা ক্যাম্প চালুসহ সরকারকে সহায়তা ইত্যাদি। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে সরকারকে সহায়তা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানিয়েছে কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিএনপি সার্কাসের হাতির মতো সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হচ্ছে।

যে কোন সংকটকে শেখ হাসিনার সরকার সম্ভাবনায় রূপ দিতে নিরলস কাজ করে থাকে তেমনি এ করোনা কালেও সে দ্বায়িত্ববোধ অব্যাহত রয়েছে।
সব নির্দেশনা প্রতিপালন এবং দৃঢ় মনোবল নিয়ে করোনাবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অতীতের যে কোনো দুর্যোগের মতো আমাদের ঐক্যবদ্ধ, সাহসী ও মানবিক প্রয়াস সংকট উত্তরণের পথ সুগম করবে।
আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল দূর্যোগকে প্রতিহত করে আগামীর অগ্রযাত্রায় সামিল হই।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।