জীবাণুনাশক বিক্রিতে ঝুঁকছেন অনেকে

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালে কদর বেড়েছে জীবাণুনাশক পণ্যের। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পেশা বদল করে ঝুঁকছেন নতুন এই ব্যবসার দিকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গেল তিন মাসে এসব পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ৪শ’ গুণ পর্যন্ত। সে সুযোগে নকল পণ্যের বিক্রি ঠেকাতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ক্রেতারা। মিজানুর রহমান। করোনা মহামারির আগে ছিলেন লেডিস ব্যাগের কারখানার মালিক। এখন সব হারিয়ে এখন রাস্তায় বসে বিক্রি করছেন মাস্ক। তার মতো অনেকেরই শেষ ভরসা এই ব্যবসা।
তিনি জানান, এটা দিয়ে চলতেছি। করোনা আমার সব নিয়ে গেছে। সকালে আসি রাতে যাই। কোনদিন ৫০০ টাকা লাভ করি, আবার কোনদিন ২০০ টাকা লাভ হয়।
অন্য একজন জানান, আগে গাড়ি চালাতাম। এখন গাড়ির যাত্রী নাই, তাই মাস্ক বিক্রি করি।
চাহিদার সুযোগে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে অহরহই। নকল পণ্য বিক্রি রোধে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান ক্রেতারা।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, বাজারের যে ধরনের জীবাণুনাশক পাওয়া যায়। এগুলো এক নম্বর না দুই নম্বর আমরা জানি না। সরকারের উচিত ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। আগামী কয়েক বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ চাহিদা থাকবে বলে মনে করেন তারা।
এক ব্যবসায়ী জানান, লাস্ট তিন মাসে গড়ে সাড়ে ৪০০ পার্সেন্ট গ্রোথ বেড়েছে। তিনমাস পর এটা একটা স্ট্যাবল জায়গায় আসবে।
দেশে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার স্যানিটাইজারের বাজার আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন