১৫ আগস্ট আর কেক কাটবেন না খালেদা

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মদিন আগামী ১৫ আগস্ট (শনিবার)। গত বছরের ন্যায় চলতি বছরও ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিনে কোনও কর্মসূচি পালন করবে না বিএনপি। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দিনে জন্মদিন পালনের বির্তক থেকে বেরিয়ে আসতে একদিন পিছিয়ে ১৬ আগস্ট জন্মদিনের কর্মসূচি পালন শুরু করে দলটি।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার ৭০তম জন্মদিন সিদ্ধান্ত হয় ১৫ আগস্ট তিনি আর কেক কাটবেন না। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ মাহফিল ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ৭১তম জন্মদিনে কেক না কেটে সকালে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল।
এরপর গত বছর ২০১৯ সালের ৭৫তম জন্মদিনে ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৬ আগস্ট জন্মদিন উপলক্ষে মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তবে দলীয় চেয়ারপারসনের জন্মদিন কিভাবে পালন হবে তা নিয়ে এখনো দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ওই বিএনপি নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, গত বছর ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সারাদেশে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া হয়েছিল। এই বছর এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্ম হলেও তার জন্মতারিখ নিয়ে বিতর্ক আছে। খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে বসবাস করতেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাপিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়ে তার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ আছে।
তবে সমালোচকদের দাবি, একেক জায়গায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে একেক রকমের তথ্য আছে। তার পাসপোর্টে এক ধরনের তথ্য, আবার পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য জরুরি ডকুমেন্টে তথ্যের ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন