বুকে ব্যথার অভিনেতা সাহেদ

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : একের পর এক অভিনয় করে পার পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ। তার এই অভিনয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে কখনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কখনো আবার কারা কর্তৃপক্ষকে। আদৌ তার শারিরীক কোন সমস্যা আছে কিনা? সেটা তার চলন-বলনে বোঝা যায়। আদালতে হাজিরার পর বুধবার দুপুরে যখন দুদক কার্যালয়ে আনা হয় তখন তাকে দেখে মনে হয় পুরোপুরি সুস্থ স্বাভাবিক। দ্বিতীয় দিন রিমান্ডে নেওয়ার পথে পথে বুকে ব্যথা বোধ করলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, সাহেদকে কার্ডিওলজির জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ইসিজি রিপোর্ট ভালো ছিল। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতেও সাহেদকে বিএসএমএমইউ-তে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ অভিযোগ এসেছে রিজেন্ট কলেজ বা রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন। ফলে শুধু শিক্ষার্থীদের জীবনই নষ্ট হয়নি, ব্যক্তিজীবনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।


বিজ্ঞাপন