বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সরকার চায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড হোক, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই বিচারের মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তি হোক। তবে মাঝে মধ্যে দুই একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- চায় না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার বাইশটিলা জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী সদর উপজেলার রাতারগুল এলাকায় বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত অর্গানিক এগ্রো টেকনোলোজি পার্ক এবং রিসোর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
করোনা পরিস্থিতিতে সাহেদ-সাবরিনার মত অপরাধীদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দুর্নীতি হয়। আমাদের দেশে যখনই অন্যায়-দুর্নীতি হয় তখনই সরকার শক্ত হাতে দমন করে। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করে। তাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে আমরা যখন ভেন্টিলেশন, মাস্ক, পিপিই এসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত তখন আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বললেন- আপনারা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অসুবিধা নাই। তবে দেশে একটি মানুষও যেন এই করোনাকালে না খেয়ে না থাকে। তিনি সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে সবাইকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, অনেকে আছে যাদের নাম অনুদানের তালিকায় নেই, তারাও যেন সহযোগিতা পায়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছি এবং যার ফলে এই মহামারির দীর্ঘ দিনের কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে একজন মানুষও না খেয়ে থাকেননি। তিনি বলেন, দেশে পানি ও মানুষ দুটো সম্পদ। এই দুটি সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। করোনাকালে প্রবাসীদের দেশে ফেরার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে যাতে কর্মসংস্থানের অভাব না হয় সেভাবে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। রাতারগুল অর্গানিক এগ্রো টেকনোলজি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট এমন একটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। এখানে এলাকার বহুলোক কাজ করতে পারবেন। এটি অত্যন্ত খুশির বিষয়। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে তার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন