আয়কর ফাঁকি শনাক্তে টাস্কফোর্স গঠন

অর্থনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিবন্ধিত যেসব কোম্পানি টিআইএন গ্রহণ বা রিটার্ন দাখিল না করে দীর্ঘদিন আয়কর ফাঁকি দিয়ে আসছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক মো. শাব্বির আহমদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের টিম টাস্কফোর্সের আওতায় কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন সই করা চিঠির সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাব্বির আহমদের নেতৃত্বে টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বৃহৎ করদাতা ইউনিটের যুগ্ম কর কমিশনার দুলাল চন্দ্র পান্ডে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপ-পরিচালক ওয়াকিল আহমদ, মিজ সুলতানা হাবীব, এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. মনিরুজ্জামান, কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার মো. জোনায়েদ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের সহকারী কর কমিশনার মিজ ফারহাত তাসমীম।
টাস্কফোর্সের কর্মপরিধির বিষয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে নিবন্ধিত যেসব কোম্পানি টিআইএন গ্রহণ বা আয়কর রিটার্ন দাখিল করছে না, সেসব কোম্পানি চিহ্নিত করা, তালিকা প্রণয়ন এবং মাঠ পর্যায়ের দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কোম্পানিকে আয়করের আওতায় আনার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
জাল অডিট রিপোর্ট দাখিল রোধকল্পে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা প্রণয়ন: কোম্পানি করদাতাদের কর নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিল এবং অথেটিক অডিট রিপোর্ট দাখিল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত করা এবং সমাধানের বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ করা। কোম্পানির টিআইএন গ্রহণ ও রিটার্ন দাখিল নিশ্চিতকরণে এবং কর বিভাগের নিকট জাল অডিট রিপোর্ট দাখিল বন্ধে যেসব কার্যক্রম গৃহীত হচ্ছে তা অগ্রগতি মনিটর করে রিপোর্ট দেওয়া।
টাস্কফোর্স যৌথমূলধন কোম্পানি ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানি করদাতার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে এবং আইসিএবির সাথে যোগাযোগ করে জাল অডিট রিপোর্ট দাখিল বন্ধ করার কর্মপন্থা প্রণয়ন।
টিআইএন বিহীন করদাতা চিহ্নিকরণসহ বিভিন্ন কাজে ডেটা ম্যাচিং ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা উইং এবং আইসিটি উইং টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া। টাস্কফোর্স কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত চেয়ারম্যানকে অবহিত করবে বলেও চিঠির সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর খাত থেকে রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সুন্দর ও যুগোপযোগী একটি কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বিজনেস প্রসেস অটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সামগ্রিক অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে করের আওতা সম্প্রসারণ (জরিপ, থার্ড পার্টির ডাটাবেজ ব্যবহার করা), করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রিটার্ন ফরম সহজ করে এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরি করা হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন