পেকুয়ায় আ’লীগ নেতার হাত কেটে নিল ভাতিজা

অপরাধ সারাদেশ

পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা এবং ৩ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী আলী হোসেন (৫০) ডান হাত কেটে দুই টুকরো করে দিয়েছে তার ভাতিজা সদ্য জেল ফেরত অপহরণ মামলার আসামী আলমগীর।
আলী হোসেন পেকুয়া মইয়াদিয়া এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে এবং হামলাকারী একই এলাকার আশরফ মিয়ার ছেলে আলমগীর।
স্থানীয়রা আলী হোসেনকে উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্মরত চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে রেফার করি হয়েছে।
২৮ আগাষ্ট শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলী হোসেন মুন্সীর মেয়ে কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল নাঈমা মুন্নী গত ১২জুলাই অপহরণের শিকার হন। মুন্সী বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি অপহরন মামলা (০৫/২০) দায়ের করেন। আলমগীর ওই মামলার আসামি। গত দেড় মাস আগে আলমগীরকে জনতা আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে। সম্প্রতি আলমগীর জেল থেকে জামিনে মুক্ত হন। আলমগীর মইয়াদিয়া এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর ও মুন্সী আপন চাচা-ভাতিজা। আলমগীরের শ্যালকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্নীর। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে। আলী হোসেন মুন্সীর পরিবারের দাবী গত তিন মাস আগে মেয়ে অপহরণ হয়।আমরা মামলা করি তবে এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আজম খাঁন জানান, আলি হোসেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। এটি সন্ত্রাসী হামলা। তাকে প্রাণ মেরা ফেলার দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল বলে মনে হচ্ছে।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন