তিনদিনের অভিযানে ২৫০০ স্থাপনা পরিদর্শন ডিএনসিসির

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বাড়াতে গত তিন দিনের চিরুনি অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৭৬টি বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৭৬টি বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ২০৬টি হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টবিহীন এবং ৪৭৭টি ভবন সম্প্রসারিত পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ১ হাজার ১৯৪টি হোল্ডিং ও ৬০৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ৮৩টি হোল্ডিংয়ে ইতিপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি। এছাড়া ২০৪টি হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট করা হলেও পরবর্তীতে হোল্ডিংগুলো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি এবং সম্প্রসারিত এসব হোল্ডিংকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। এছাড়া পরিদর্শনকৃত ৬০৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টিতে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি এবং ৩৩৭টি ট্রেড লাইসেন্সবিহীন পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে পরিধি (ট্যাক্স নেট) বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাসব্যাপী মিরপুর (অঞ্চল-২) ও কারওয়ান বাজারে (অঞ্চল-৫) চিরুনি অভিযান চলছে।
ডিএনসিসির অন্যান্য অঞ্চলেও পরবর্তীতে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। এই চিরুনি অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, করের পরিধি বাড়ানো, বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভুক্ত করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণকে পৌরকর প্রদানে উৎসাহ প্রদান করা।
চিরুনি অভিযানে করবহির্ভূত বাড়ি-ঘর, স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট, বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও নবায়নের আওতায় আনা হবে।
অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে আহ্বায়ক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। একজন উপকর কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি করবহির্ভূত বাড়ি-ঘর এবং ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করবে।


বিজ্ঞাপন