মিথ্যা, বানোয়াট-ভিত্তিহীন অভিযোগে মানববন্ধন এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সারাদেশ

আজকের দেশ রিপোর্ট : মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মানববন্ধন এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নড়াইলের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আনিসুল ইসলাম।
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি জানিয়েছেন, “নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আনিসুল ইসলামের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত” শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে মানববন্ধনের বরাত দিয়ে আমাকে প্রতারক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দূর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়। যা কাল্পনিক ও মনগড়া।


বিজ্ঞাপন

এছাড়া ইউনিয়নের রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় না করে ক্ষমতাবলে আত্মসাৎ, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড, বিধবা কার্ডসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ করা হয়। গ্রামের বেনজীর হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবী করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যনির্ভর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত বটে। একটি মহল আমার সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রচার প্রচারণা সহ উক্ত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে-আমি নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিরলশ ভাবে সেবা প্রদান করে চলেছি । জন সেবায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে বন্টনের ব্যবস্থা করেছি।

এস.এম আনিসুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী পরিস্থিতির দু:সময়ে আমি গরিব অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করেছিন। অনেক ভ্যান চালকদের গোপনে নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। গরীব-অসহায় এলাকাবাসীর কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনি। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বিছালী ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে মিশে চলাতে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছি। এলাকায় সামান্য হোক আর বড় কোনো সমস্যা হলে আমি নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে বিচারের ব্যবস্থা করে চলেছি। যার ধারাবাহিকতায় আমার ইউনিয়নে মামলার সংখ্যা অতি নগন্য মাত্র। যার প্রেক্ষিতে এলাকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছি।

আমার সামাজিক অবস্থান, মান-সম্মান ক্ষুন্ন করতে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহলের ছত্র-ছায়ায় সদ্য গ্রেফতার হয়ে জামিনে ছাড়া পাওয়া পর্ণোগ্রাফার বেনজীর আহমেদ মোল্যা কর্তৃক তার বাড়ির পাশের কিছু মহিলা-পুরুষ ভাড়া করে ইউনিয়নবাসীর নাম ভাঙ্গিয়ে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা-বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করে নামসর্বস্ব মানববন্ধন করে। এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের প্রভাবিত করে সংবাদও প্রকাশ করায়। যার প্রমাণস্বরূপ মানববন্ধরের ব্যানারের পেছনে দাঁড়ানো বেনজীর মোল্যা মুখ লুকিয়ে আছে।

আমি উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মানববন্ধন এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।