নড়াইলে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় দুপক্ষের আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা

সারাদেশ

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের উজিরপুর গ্রামের আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী অপু বিশ্বাসের বয়স ও ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটতে চলছে।
ডাক্তারি পরিক্ষায় অপুর বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর নির্ধারীত হয়েছে। রোববার (১১অক্টোবর) নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল ও জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার শিরিনের আদালতে বয়স নির্ধারনে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাদের এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত ধর্ষক অপুর বয়স নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে বিষয়টি নিস্পত্তি কল্পে আদালত নড়াইলের সিভিল সার্জনকে মেডিকেল পরিক্ষার মাধ্যমে অপুর বয়স নির্ধারণ করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেন।
সিভিল সার্জন কতৃক গঠিত ৫জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিক্ষা করে তাদের নিকট অভিযুক্তের বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর বলে প্রতিয়মান হলে,রবিবার এ বিষয়ে রিপোর্ট দাখিলের ধার্যের দিনে আদালতে এ মর্মে রিপোর্ট দাখিল করা হয়।
আদালতের নিকট অভিযুক্ত অপু প্রাপ্তবয়স্ক বিবেচিত হওয়ায় তাকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে নড়াইল জেলা কারাগারে হস্তান্তরের আদশে দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানাগেছে,গেল (৩০আগষ্ট) দিনমজুর বাবা-মা প্রতিদিনের মতো কাজে গেলে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর গ্রামের ৪বছরের শিশুটিকে একা পেয়ে তাদের প্রতিবেশি অপু বিশ্বাস ফুসলিয়ে নির্জনে নিয়ে তাকে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবার দায়ের করা মামলায় সেদিনই অপুকে সাধারণ জনগণ ও রাসেল বিল্লাহ্ সহ পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সোপর্দ করলে সে সময় আদালত তাকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
এদিকে অপু বিশ্বাসের নামে ধর্ষণ মামলার কোন আলামত না পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় এখনো অপু বিশ্বাস কারাগারে রয়েছে বলে মেডিকেল রিপর্টে জানা জায়।
অপু বিশ্বাসের ভাই সজিব বিশ্বাস জানান,আমার ভায়ের নামে শিশুর পিতা কাতেবর ও জৈনক রাসেল বিল্লাহু অপুর নামে ধর্ষণ মামলা সহ মানববন্ধন ও ডাক্তারদের নামে ধর্ষণের রিপর্ট পরিবর্তন করেছে মর্মে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সকল কে বোঝাতে সক্ষম হন,যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি অপু বিশ্বাস,শিশু সামিয়াকে যোঁর পূর্বক ধর্ষণ করেছে,মর্মে মামলা করে,কিন্তু অপুর ধর্ষণের কোন আলামত প্রমান পাইনি মেডিকেল কর্তিপক্ষ বা মহামান্য আদালত।
বিত্তিহীন বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে জৈনক রাসেল বিল্লার নামে ডঃমশিউর রহমাম বাবু বাদি হয়ে মানহানী মামলা করেন এবং সেই মামলায় রাসেল বিল্লাহ্ কিছু দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে নিজেকে সঠিক বলে প্রমান করতে ফেসবুক লাইভে কান্নাজনীত কন্ঠে সকল কে জানান,আমি কোন দিন কোন অন্যায় করিনি বা কোন সংগ্ঠনের নাম ভাঙ্গীয়ে আমি চলিনি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে নড়াইল বাসি জানতে চাই কেন অপু বিশ্বাসের নামে ধর্ষণ মামলা করে কুচক্র মহল।
এদিকে অপু বিশ্বাস,শিশু সামিয়াকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে মর্মে বিচারের দাবিতে মামলা করতে পারতো বলে জানান এলাকা বাসি ও অপুর বড় ভাই সজিব বিশ্বাস।
কেন অপু বিশ্বাসের পরিবারের নামে এমন জঘন্য ধর্ষণ নামের অপবাদ দিয়ে মামলা করলেন কিছু কুচক্রি মহল।
এমন অপবাদের বিচার চান ভুক্তভোগী অপু বিশ্বাসের বড় ভাই সজিব বিশ্বাস।
সজিব বিশ্বাস জানান,আমার ভাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধি অপু বিশ্বাস,যদি অন্যায় অপরাধ করে থাকে তাহলে মহামান্যা আদালত যে বিচার করবে আমরা মেনে নিব কিন্তু এমন কোন অপরাধ আমার ভাই করতে পারে না বা করেনি।
আমার ভায়ের অপরাধের কোন প্রমান বা সাক্ষি নাই,যে সকল সাক্ষিদের নাম দিয়ে সাক্ষি দিয়েছেন তারা কেউ কিছু জানেন না বলেও জানান তিনি।
আমার ভাই নির্দোশ আমার ভাই এমন কোন কিছু করেন নি আমাদের পরিবারর কে সন্মান হানি করতে কিছু কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছেন বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন