অক্টোবরের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি

জাতীয়

অক্টোবরের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল, পিপিপি বা লিজ নয়, আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু করা। অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকের সমুদয় পাওনা পরিশোধ এবং বিশ্বব্যাপী পাট ও পাটশিল্পের সম্ভাবনা নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে পাট, সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।


বিজ্ঞাপন

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।

সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আসলাম খানের পরিচালনায় ঘোষণাপত্র ও দাবিনামা পেশ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মছিউদদ্দৌলা, যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, হাফিজ জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, ইস্টার্ন জুট মিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউসুফ আলী গাজী, শ্রমিকনেতা আব্দুল কাদের হাওলাদার, টিইউসির নেতা আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকনেতা শামসুল আলম, আমিরুল হক, আতাউর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, স্বাধীনতার পর পাটশিল্পের মাধ্যমেই ‘সোনালী আঁশ’-এর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে পরিচিতি পেয়েছিল। ৬৯-র গণঅভ্যূত্থান থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের পাটশিল্প শ্রমিকদের অবদান সবারই জানা আছে। ফলে পাটশিল্প শুধু অর্থনীতিই নয়; এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। এ রকম একটি শিল্প আমাদের চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাবে, তা হতে দেয়া যায় না।

আমরা অর্ধশতাব্দী পুরনো পাটকলের পরিবর্তে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির সংযোজন করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু চাই। যন্ত্রপাতির আধুনিকীকরণ শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বেসরকারি পাটকলগুলোকেও এই ধারা চালু করতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের কী ধরনের নীতি ও আর্থিক সহায়তা দেয়া দরকার-সরকারকে তা ভেবে দেখতে হবে।

সমাবেশে দাবিনামা তুলে ধরা হয়- (১) বিশ্বব্যাপী পাট ও পাট শিল্পের সম্ভাবনা নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান। অবিলম্বে পাট-সুতা-বস্ত্রকলের শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ কর। (২) রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল কর। পিপিপি বা লিজ নয়, আধুনিকায়নের মাধ্যমে করে রাষ্ট্রীয়ত্ত ও পুনঃ অধিগ্রহণকৃত পাট, সুতা, বস্ত্রকল চালু কর।(৩) ১২০০ কোটি টাকা বিনিযোগকরে আধুনিকায়ণ করার মাধ্যমে দেশীয় পাটশিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা কর। (৪) ব্যক্তি মালিকানা নির্বিশেষে জুট ও টেক্সটাইল শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। (৫) সুনির্দিষ্ট পদে একটানা তিন মাস কর্মরত শ্রমিকদের শ্রম আইনের ধারা ৪(৮) অনুযায়ী স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে গণ্য করে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। (৬) পাটখাত ধ্বংস, দুনীতি লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চাই।