কারিগির শিক্ষা বোর্ডে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি

এইমাত্র জাতীয় শিক্ষাঙ্গন

বিশেষ প্রতিবেদক : নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চলছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে। চলছে বিভিন্নভাবে সরকারি ও বোর্ডের অর্থ লুটপাট। সংস্থাটির এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী সংঘবদ্ধ হয়ে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন-ব্যবসা, অবৈধভাবে নতুন বিভাগ-ট্রেড খুলতে সহায়তা, ভুয়া শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন, ফল জালিয়াতি, অন্যের প্রতিষ্ঠান দখলে সহায়তাসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন বোর্ডের চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি। বোর্ডে চাকরিরত অবস্থায়ও অনেকেই বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। ফলে বোর্ডের নিয়ম-কানুন নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার ও তৈরির অভিযোগ আছে। আছে কেনাকাটায় অনিয়ম, বকশিশের নামে ঘুষ, ঘুষ না পেলে হয়রানি, একই কাজের জন্য বারবার সম্মানী নেয়া, ভুয়া ভাউচারে বিল ও সম্মানী নেয়ার অভিযোগ।
অন্যদিকে জানা গেছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এ্যাক্ট অনুযায়ী প্রেষনে নিয়োজত একজন কর্মকর্তা ৩ (তিন) বছর এর জন্য আসেন। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুশীল কুমার পাল এই এ্যাক্টকে বাইপাস করে ৫ (পাঁচ) বছরের অধিক সময় ধরে বোর্ডে আছেন।
তিনি কখনো সিস্টেম এনালিস্ট, কখনো ডেস্ক অফিসার আবার কখনো সনদ লেখন এ সুশীল কুমার পাল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে বদলি কিংবা বরখাস্ত করা হচ্ছে না তা নিয়ে বোর্ডে সমালোচনার ঝর বইছে। বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাহির থেকে আসা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/পরিচালক এমন কোন লোক নেই যে ওনার তীর্যক আচরণ থেকে বাদ যায় না। প্রতিষ্ঠানের কাজে আসা লোকদেরকে ঘণ্টার পর ঘন্টায় বসিয়ে রেখে সার্টিফিকেট-মার্কসিট স্বাক্ষর করে বোর্ডের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যেমন- ওনার রুটিন কাজ বাদ দিয়ে সার্টিফিকেট-মার্কসিট স্বাক্ষর করা, কোন মিটিং আয়োজন করা, কিংবা কোন নতুন নতুন সেমিনার আয়োজন করে ওখান থেকে সম্মানি গ্রহন করেন। যেগুলো শুধু তার পকেটই ভারী করে। অথচ বোর্ডের কোন উপকারে আসেনা। মাস শেষে সরকার নির্ধারিত বেতন দিয়ে থাকে। নির্ধারিত বেতনের চেয়ে বেশি নিয়ে থাকেন তার নিজস্ব মিটিং আয়োজন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ হতে শুশীল কুমারকে বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার জন্য একটি পত্র বোর্ডের চেয়্যাম্যান ড. মোরাদ হোসেন মোল্ল্যাকে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও গত ২৪ সেপ্টেম্বর বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোরাদ হোসেন মোল্ল্যার নিকট দূর্নীতি দমন কমিশন হতেও একটি পত্র আসে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুশীল কুমার পালের অনিয়ম ও সার্টিফিকেট মার্কশীট স্বাক্ষর করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়ে।
আরো জানা গেছে শুশীল কুমারের পিরিয়ডে ৪ (চার) বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় অথচ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি তার বিরুদ্ধে। এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যারা যারা ছিল প্রত্যেকেরই একই রকম অভিযোগ আসার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে তিনি বোর্ডে আসার পর থেকে কোন পরীক্ষার ফলাফল সময়মত প্রকাশিত হয়নি। প্রতিটি কাজ তিনি পেনডিং করে রাখেন।


বিজ্ঞাপন