কোস্টগার্ডে যুক্ত হলো ৯টি জাহাজ ও একটি ঘাঁটি

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগের সাথেই আমাদের চলতে হবে, তাই আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিও থাকতে হবে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের ৯টি জাহাজ ও একটি ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে জাহাজের কমিশনিং ও বিসিজি বেস ভোলার উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের বেস স্টেশনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, এ জন্য আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। এই সময় আমাদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অর্থনীতি যেন থমকে না যায় এবং মানুষের জীবন যেন সচল থাকে; সেজন্য সরকার সব ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না। এই সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের কথা কখনও বলেনি। আমরা যদি জিয়াউর রহমানের সরকারের কথা বলি, এরশাদ সরকারের কথা বলি বা খালেদা জিয়ার সরকারের কথা বলি..যার কথাই বলি..একজনও মেরিটাইম বাউন্ডারিতে আমাদের যে অধিকার আছে, সেই অধিকারের কথাটা কখনও তারা উল্লেখ করেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। হয়তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার আছে, এটা কোনোদিনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। সমুদ্র সম্পদকে কিভাবে কাজে লাগানো যাবে, সরকার ইতোমধ্যে সেই পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কাজে লাগাবার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছেৃকারণ বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা বাণিজ্য এখান থেকেই চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, তাছাড়া আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেনৃতাদের নিরাপত্তা এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নতিটাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ তারা সব সময় অবহেলিত। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই সমুদ্র সম্পদকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে লাগাতে চাই।
৯টি জাহাজের মধ্যে চারটি ইতালি থেকে কেনা হয়েছে। বাকি পাঁচটি তৈরি করা হয় নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ডে।
ইতালি থেকে কেনা চারটি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল হলো- বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল, বিসিজিএস তাজউদ্দীন, বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামারুজ্জামান।
দেশে তৈরি ভেসেলগুলো হলো- বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা ও বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা।
এছাড়া দুটি ফার্স্ট প্যাট্রল বোট বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া আজ এ বাহিনীর বহরে যুক্ত হবে। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় অতন্দ্র প্রহরীর কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়।


বিজ্ঞাপন