‘গোল্ডেন মনির’ রিমান্ডে

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’কে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক তিন মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ডের আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই মামলার রিমান্ড একসঙ্গে চলবে। আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে গোল্ডেন মনিরকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।

অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী সাত দিন করে ১৪ দিনে এবং আরেক তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জানে আলম দুলাল মাদক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

প্রথমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান, হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। তিনি আইনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই বলে আদালতকে জানান। তিনি বলেন, আসামি ইনোসেন্ট।

উদ্দেশ্যেমূলকভাবে হয়রানি করার জন্য অসৎ লোকের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি নির্দোষ। আর যা উদ্ধার হওয়ার দরকার তা তো উদ্ধার হয়ে গেছে। এখানে রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

শুনানি শেষে দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যা একসঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসু-উর-রহমানের আদালতে মাদক মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তিনি বলেন, মাদক মামলায় আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। অথচ এ আসামি ধুমপান করেন না। এমনকি পানও খান। কোনো বদঅভ্যাস তার নেই। তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, মনিরের বাড্ডার বনশ্রীর বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়। রোববার মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে। মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে।