বাঁশখালীতে দফায় দফায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার মোরশেদসহ তার পরিবার

চট্টগ্রাম

 

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : বাঁশখালীতে মোরশেদুল আলম (২২) নামের মামলার এক বাদিকে জামিনে আসা আসামীরা উলঙ্গ করে উপর্যুপরি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞান করে পালিয়ে গেছে। সাতকানিয়া সরকারি কলেজে অনার্সে পড়ুয়া ছাত্র মোরশেদুল আলম কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথমধ্যে গতকাল রবিবার (২২ নভেম্বর) বেলা ২টায় সরল ইউনিয়নের মধ্যম সরল গ্রামের বড় মাদ্রাসার সামনে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সন্ত্রাসীরা হলেন আবু নাঈম (৩৭), মোঃ ফারুক (৩১), মোঃ কাশেম (২৫), মোঃ সৈয়দ (২৪), মোঃ বেলাল (৩২), মোঃ আনোয়ার (৫৫) সহ ৭-৮ জন যৌথ ভাবে হাতুড়ি, দেশীয় বন্দুকের নল, ইট-পাথর, লোহার রড, কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি দিয়ে আঘাত করে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে উপস্থিত জনতা মোরশেদুলকে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ওখানের কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্ত্রাসীরা মোরশেদুল আলম, তার গ্রীস প্রবাসী ভাই মো. সেলিম, তার বোন আয়েশা ছিদ্দিকা, তার মা নুর নাহার বেগম, বাবা মৌলভী আবুল বশরের ওপর অন্ততঃ ৩ দফা কিরিচ দিয়ে কোপানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে চলছে মোরশেদুলের বোন আয়েশা সিদ্দিকার প্রতারক স্বামী বাঁশখালীর সরল ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার উদ্যোক্তা পদে নিযুক্ত আবু নাঈম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রতিটি মামলায় আবু নাঈমই আসামী। এর মধ্যে গ্রীস প্রবাসী ভাই মো. সেলিম দেশে ফেরার আগে হামলার আশংকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে ঠিকই সন্ত্রাসীদের কিরিচের কোপে আহত হয়েছেন। পাষন্ড স্বামী আবু নাঈম নিজ আইডি থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা অশ্লীল ছবিসহ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে আয়েশাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছে। অভিযোগ আছে, আয়েশা ছিদ্দিকাকে পিটিয়ে ১০ দিন বয়স্ক নবজাতক কন্যাকে তার স্বামী সাতকানিয়া উপজেলার আলীনগর গ্রামে ২লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছেন। লোমহর্ষক এসব অপরাধ ঘটিয়ে ৩টি মামলা ও ৪টি জিডি’র সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা জামিনে এসে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গৃহবধূ আয়েশার পরিবার এবং মামলার বাদি ও সাক্ষীকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল রবিবার ২২ নভেম্বর বেলা ২টায় সরল ইউনিয়নের মধ্যম সরল গ্রামের বড় মাদ্রাসার সামনে প্রকাশ্যে আবু নাঈম ও তার সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) শফিউল কবির বলেন, ‘ হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। অপরাধ ঘটিয়ে কেউ রক্ষা পাবে না।’


বিজ্ঞাপন