অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ সুযোগে একটি চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ গ্রাহক পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ আছে।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি ফেসবুক পেজে একজন ভিকটিমের কাছ থেকে এই ধরনের অভিযোগ পায়। ভিকটিম অনলাইনে মোবাইল বিক্রির পোস্ট দেখতে পায়। বিক্রেতা সেনাবাহিনীর কর্পোরাল পরিচয় দেয়। মোবাইল ক্রয়ের বিষয়ে ভিকটিম আগ্রহের কথা বলে যোগাযোগ করে। ভিকটিম প্রতারকের সাথে কথা বলে মোবাইল কেনার জন্য ১০,৫০০/- বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়। সময় দিন গুনে কিন্ত ক্রেতা মোবাইল পায়না আর। প্রতারক মোবাইলটি না পাঠিয়ে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ফেসবুকেও ব্লক করে রাখে।

ভিকটিম প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান পূর্বক সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম যশোর জেলায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ইসরাতুল ইসলাম প্রান্ত নামের প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে প্রতারনায় ব্যবহৃত ডিভাইস, ফেসবুক আইডি এবং বিকাশ একাউন্ট উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে আজ।

অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি দরকার তা হচ্ছে সচেতনতা। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে কিনতে যাওয়া কখনোই উচিত নয়। ক্যাশ অন ডেলেভারী অর্থাৎ মাল সঠিক স্পেসিফিকেশন মত হলেই কেবল মূল্য পরিশোধ ।অগ্রিম মূল্য দিতে হলে অর্ডার নিশ্চিতকরণের কোনো উপায় আছে কি না জেনে নেয়া যেতে পারে। কোনো পণ্য কিনলে পণ্য বাবদ ক্রয়-রসিদের স্ক্যান কপি নিতে পারেন এবং পণ্যের সঙ্গে মূল রসিদ কপিটি পাঠাতে বলুন। পণ্যটি কীভাবে পাঠানো হবে এবং কোন মাধ্যমে তা আগেভাগেই নিশ্চিত হন।