মার্কেট-খাল কোথাও দুর্নীতি থাকবে না: তাপস

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মার্কেট, খাল, প্রশাসনসহ কোথাও দুর্নীতি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএসসিসিতে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাবে এবং সেখানে দুর্নীতির কোনো লেশ আমরা রাখতে চাই না। সেটা মার্কেট হোক, খাল হোক, প্রশাসন যন্ত্র হোক, ট্রেড লাইসেন্স হোক, কর হোক। কোনো জায়গায় আমরা দুর্নীতির লেশ রাখব না। আমরা দখলমুক্ত করব সকল আগ্রাসন থেকে। বঙ্গন্ধু যে সংগ্রামের কথা বলে গেছেন সেই সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যেমন মৌলবাদী উৎখাত করব তেমনি দুর্নীতি উৎখাত করব। আমাদের এই সংগ্রাম চলছে, চলবে।’

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সমালোচনা করে তাপস বলেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙছে। কেন ভাঙছো জিজ্ঞেস করেছি, বলে ইসলাম। আরে ইসলাম কি তোমার একার। কথায় কথায় তারা ইসলামের কথা বলে। একটা অপকর্ম করে ইসলামের কথা বলবে। দুই আয়াত পড়ে হয়ে গেলা বড় আলেম, আর আমি নিজ ইচ্ছায় কুরআন পড়ছি।’

তিনি বলেন, ‘এক ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা খালি লাফায়, বলে গৃহযুদ্ধ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বলে গৃহযুদ্ধ। ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের এনে ফাঁসি দিয়েছে, এটা হলো শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা চাইলে সাত দিনও লাগে না। তিনি তো গণতন্ত্র পালন করেন, সংবিধান সমুন্নত রাখেন। সব সহ্য করছে কারণ তিনি জাতির পিতার কন্যা।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘নয় মাস জেল খাটছে তবুও সংবিধানের বাইরে যান নাই। শেখ হাসিনাকে বোঝার চেষ্টা করো আগে। লন্ডন থেকে ওহি নাজিল হলে বুদ্ধি-মেধা থাকে না। তুমি ভাস্কর্য ভাঙছো যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারত কিন্তু কিছু হয়নি, কিছু হবে না তোমার। শেখ হাসিনা তোমাকে ঠিকই রাখবে। যেমন খালেদা জিয়াকে রাখছে, তেমনি তোমাদেরও রাখবে। এটাই হলো প্রজ্ঞা, এটাই হলো বুদ্ধি।’

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস অন্যান্য দেশগুলোর মতো নয়। কারণ অন্য দেশগুলো আলোচনার টেবিলে বসে দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু আমরা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমাদের বিজয় দিবস অন্যরকম আনন্দের। ৪৮ আমাদের জাগ্রত করল, ৫২তে প্রথম রক্ত দিলাম, শহীদ মিনারের সামনে। আমরা শুধু চেতনা জাগ্রত নয়। আমরা সেই জাতি যারা অকাতরে বুক পেতে দিতে পারে। ৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্মের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্ম না হলে স্বাধীনতা আসতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫৬, ৫৮ ও ১০ বছর কারাগারে নিষ্পেষিত হওয়া ছাড়া স্বাধীনতা আসেনি। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং ৭১ এর যুদ্ধ ছাড়া স্বাধীনতা আসেনি। এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, ৭০’র নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে আমাদের যুদ্ধে নিয়ে গেছে, একদিনে সাধারণ জনগণকে সামরিক যোদ্ধা বানিয়েছেন, যা বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই সম্ভব। একজন কোথা থেকে বেতারকেন্দ্র থেকে কথা বলল আর স্বাধীনতা আসলো, আমরা কি বোকার স্বর্গে বাস করি? দীর্ঘদিন আমাদের বোকা বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি, কারও টাকায় করিনি।’

আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন।