চেপে ধরল দুলাভাই, ধর্ষণ করল শ্যালক

এইমাত্র সারাদেশ

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মাদরাসায় যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শ্যালক ও দুলাভাইসহ তিনজন। পরে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী। অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন সম্পর্কে শ্যালক ও দুলাভাই। অভিযুক্তরা হলো- পাথরঘাটা উপজেলার চর লাঠিমারা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে জাকারিয়া (২০), জাকারিয়ার দুলাভাই মাহবুব (৩২) ও সবুজ (২৪) এবং অজ্ঞাত আরও দুইজন।

১১ এপ্রিল সকালে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে জাকারিয়া, তার দুলাভাই মাহবুব ও সবুজ। পরে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করে জাকারিয়া। ১২ এপ্রিল রাতে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাকারিয়া। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তারা।

এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী ছাত্রী উল্লেখ করেছে, ১১ এপ্রিল সকালে বরগুনার বামনা উপজেলার বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাচ্ছিল ছাত্রী। পথিমধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার চর লাঠিমারা এলাকার জাকারিয়া ও তার দুই দুলাভাই মাহবুব এবং সবুজ ছাত্রীকে অপহরণ করে পাথরঘাটায় নিয়ে যায়।

পরে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্থানীয় একজন মৌলভীর মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে জাকারিয়া। বিয়ের কাজ শেষে যে যার মতো করে চলে যায়। পরেরদিন ১২ এপ্রিল রাতে ছাত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে যায় জাকারিয়া। এতে বাধা দেয় ছাত্রী। এ সময় জাকারিয়া জোরপূর্বক ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইলে চিৎকার দেয় ছাত্রী। তার চিৎকার শুনে জাকারিয়ার দুলাভাই মাহবুব এবং সবুজ ও অজ্ঞাত আরও দুই যুবক ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে।

পরে দুলাভাই মাহবুব এবং সবুজ ছাত্রীর হাত-পা চেপে ধরে। ওই সময় ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাকারিয়া। সেই সঙ্গে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ঘরে অবস্থান করা অজ্ঞাত এক যুবক। ধর্ষণের ভিডিও জাকারিয়ার মোবাইলে ধারণ করা হয়। ১৩ এপ্রিল জাকারিয়ার বাড়ি থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় দুলাভাই দুলাল।

পরে এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা করে ছাত্রী। পাশাপাশি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সিকদার বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেছে। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *