বাল্যবিয়ে এখনো ৫০ভাগের ওপরে

জীবন-যাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাল্যবিয়ে নিয়ে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের পরও কিছুটা কমলেও তা এখনো শতাংশের হারে ৫০ শতাংশের উপর। চোখ কপালে উঠার মতো ঘটনা, রাজশাহীর পবা উপজেলায় চর খিদিরপুরের বাল্যবিয়ের শিকার শতভাগ কিশোরী। বাল্যবিয়ের কারণে এখানকার কিশোরী নারীরা অপুষ্টি ও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নিয়মিত। এই চরে এখনও পৌঁছেনি বিদ্যুৎ, শিক্ষার আলো যেন নিভে যাওয়ার উপক্রম এখানে।
ভারত সীমান্তবর্তী রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার দুর্গম চর খিদিরপুর। এখানে নেই জীবনধারণের জন্য অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা। বিদ্যুৎ ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় মুটোফোনের ব্যবহারও কম এই চরে। ছয় কিলোমিটার দূরের রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
স্থানীয়রা বলেন, সবকিছু টিভি দেখা মোবাইল চার্জসহ সবকিছু নির্ভর করে সোলারের ওপর।
বাল্যবিয়ে হওয়া কিশোরী বলেন, পরিবার পড়াশুনার খরচ চালাতে পারে না। আর বাড়িতেও থাকা যায় না, পানি উঠে যায়। এজন্য পড়াশুনার অসুবিধা হয়। বাবা-মায়ের কষ্ট হয় সে জন্য বাল্যবিয়ে দিয়ে দেয়।
অভিভাবকরা বলেন, চরের গ্রাম বুঝতেই পারেন। পড়াশুনা কি আর হবে। একটু বড় হলে বা সুন্দর হলে বিয়ে দিয়ে দেয়।
চর খিদিরপুরে বাল্যবিয়ের হারও শতভাগ। নির্দিষ্ট বয়সের আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছে এখানকার ছেলে-মেয়েরা। ফলে বাড়ছে নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি। চরের শিক্ষাব্যবস্থাও নাজুক। মাত্র দুটি স্কুল থাকলেও নেই কোনও কলেজ। কলেজে পড়তে হলে যেতে হয় রাজশাহী শহরে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন এর পরিচালক টনিক মাইকেল বলেন, তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে মানসিকভাবে শারীরিক ভাবে। এটি করোনার সময় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা চর খিদিরপুরে। দুই হাজার মানুষের জন্য নেই কোনও হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক।


বিজ্ঞাপন