আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান

রাজনীতি

আরিফুর রহমান : দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতা’র সম্পাদক ও প্রকাশক, কয়েক বারের নির্বাচিত এফবিসিসিআই পরিচালক এবং ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেডিডেন্ট ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি।


বিজ্ঞাপন

রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি এমন একজন মানুষ যিনি হৃদয় দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হাঁটছেন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে করোনা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার সারথী হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন।

সাতক্ষীরা সদরে সুলতানপুরের কাজীপাড়ায় স্বনামধন্য কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধনে তরুণ বয়সেই তিনি দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য ডেইলি পিপল’স টাইম, পাক্ষিক অর্থপাতা ও ট্রাভেলস অটোমোবাইলস অ্যান্ড হাউজিং পত্রিকাগুলো নিয়ে গড়ে তোলেন ভোরের পাতা গ্রুপ অব কোম্পানিজ। তাঁর মেধা ও সৃজনশীল সম্পাদনাগুণে ইতোমধ্যে চারটি পত্রিকাই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি একজন সফল সাংবাদিক, সফল সম্পাদক ও সফল তথ্যযোদ্ধাও বটে।

তিনি একাধারে মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন ও রূপান্তর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপার্সন, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট । দীর্ঘদিন থেকে একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে দেশ ও দশের সেবা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ জন্যে গণমানুষের পক্ষ থেকে তাঁকে সাহসী কলমসেনা উপাধীতে ভূষিত করা হয়েছে। গত এক দশকে তাঁর প্রজ্ঞাসুলভ ধীমান ও ক্ষুরধার লেখনীতে উন্মোচিত হয়েছে জাতীয় সমস্যার গঠনমূলক সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা।

নির্ভীক মানবাধিকারকর্মী ড. কাজী এরতেজা হাসান বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্প, মুক্ত সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকার উন্নয়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নেলসন ম্যান্ডেলা পদক-২০১৪, মানবাধিকার শাইনিং পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৪, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক-২০১০, মহাত্মা গান্ধী অ্যাওয়ার্ড-২০১০, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সম্মাননা-২০১০, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০০৮, মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল-২০০৭, মওলানা ভাসানী স্মৃতিপদক-২০০৫ সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

ব্যক্তিজীবনে ড. কাজী এরতেজা হাসান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী এবং মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন পতাকাবাহী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মানবিক আদর্শকে নিজের মধ্যে ধারণ করে বর্তমান সরকারের দেওয়া দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকার, মাটি ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সচিত্র প্রতিবেদন, নিষিদ্ধ ঘোষিত অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্টকারী জঙ্গি সংগঠনের মুখোশ উন্মোচন ও মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে শব্দ সৈনিক হিসেবে সংবাদপত্রে লেখনীর মাধ্যমে দেশ, জাতি ও আপামর জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান । এ সব সমাজসেবা মূলক কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পৃথিবীর অনেক দেশে প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ হয় ড. কাজী এরতেজা হাসানের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার সততায় অনুপ্রাণীত হয়ে আমি স্বাধীনতার পতাকাবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার আস্থা, আমার ভরসা। তিনি দেশের এক মঙ্গলময়।আমার প্রতি আস্থা রেখে তিনি আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা সফলতার সাথে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব আমি যেন সফলতার সাথে পালন করতে পারি এবং মানবতার মা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশের অর্থনৈতিক গতিকে আগের মত সচল রাখতে যেন ভূমিকা রাখতে পারি সেজন্য সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।