সময়ের খবর পত্রিকার সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলায় আহত

সারাদেশ

প্রধান হামলাকারী আটক


বিজ্ঞাপন

 

অভয়নগর প্রতিনিধি : যশোর জেলার অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকার অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি ও নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শাহিন আহমদ ও তাঁর স্ত্রী ইসফাত আরা আইরিন সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে ধোপাদী গ্রামের নতুন বাজার এলাকা সংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ধোপাদী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে এস এম রিপন (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
আহত সাংবাদিক শাহিনের স্ত্রী জানান, বুধবার দুপুরে তাদের ৮ বছরের মেয়ে তাছনিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এস এম রিপনের শিশুর বিবাদ হয়। তারই জের ধরে আনুমানিক বেলা ১টা ৪৫মিনিটের সময় রিপন ও তাঁর স্ত্রী হীরা বেগম, এবং তাদের সহযোগী একই গ্রামের আমিনুরের স্ত্রী ফরিদা বেগম তাদের বাড়িতে আসে। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমার স্বামী তার প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে রিপন তাঁর হাতে থাকা মোটা কাঠের লাঠি দিয়ে আমার স্বামীকে পেটাতে শুরু করলে অপর দুই মহিলা লাঠি নিয়ে এণোপাতাড়ীভাবে মারতে থাকে। ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও পিটিয়ে জখম করে এবং পরিবারের সকলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমাাকে ও আমার স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেন। ঐ রাতেই অভয়নগর থানায় হামলাকারী তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া জাহান বলেন, সাংবাদিকের মাথা ও নাকে আঘাত করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় আছে। সাংবাদিকের স্ত্রীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে, তিনি শঙ্কামুক্ত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যা অত্যন্ত ঘৃণার কাজ। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের ধরে ফৌজদারী দন্ডবিধি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।