চসিক নির্বাচনে সংঘর্ষ, নিহত ১

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাহাড়তলি এবং লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী। তার নাম নিজামউদ্দীন। ঘাতক ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন কামরুল। তিনি ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।

এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সব কয়েকটি কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ভোটে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারপিট ও ভোট ডাকাতি হচ্ছে। তবে যত বিশৃঙ্খলাই হোক, মাঝপথে ভোটের মাঠ ছেড়ে যাবো না।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর খুলশী, চানগাঁও, বাকলিয়ায় আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলিতে ৩ তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনকি আমাদের নারী কর্মীদের গায়েও হাত তোলা হয়েছে।

তবে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সারা শহরে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। বিপুল ভোটে জয় পাবো আশা করছি।

ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিএনপির এজেন্ট না থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে তারা (বিএনপি) কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি।

চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।

এবার চসিক নির্বাচনে ভোটার ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।