নড়াইল বাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে পৌর মেয়রের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন

সারাদেশ

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল : নড়াইলের পৌর-মেয়র আনঞ্জুমান আরা নড়াইল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন,নড়াইল বাস টার্মিনাল থেকে বজ্র ময়লা নিরাসনের লক্ষে শ্রমিকগণ কে দির্ঘ প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে নড়াইল বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্নসম্পাদক ও আগামি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো:জাহাঙ্গীর আলম নড়াইল পৌর মেয়ের আনঞ্জুমান আরাকে বাস টার্মিনালের পরিবেশ পরিস্থিতি ঘুরে ঘুরে দেখান এবং এমন নোংড়া আবর্জনা অবস্থায় বাস টার্মিনাল দেখে হতভাগ হন মেয়র আনঞ্জুমান আরা।
বুধবার সকালে নড়াইল বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে মেয়র আনঞ্জুমান আরা সব কিছু দেখে সুনে সকল শ্রমিকগণ কে একটি ছাতার নিচে থাকার আহব্বান জানান।
সেই সাথে নড়াইল বাস টার্মিনাল কে নতুন করে সাজানোর প্রতিছ্রুতি দেন।
এদিকে বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন,নড়াইল পৌর মাতা আনঞ্জুমান আরা,বাস মিনিবাস শ্রমিন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন খান,সাবেক যুগ্নসম্পাদক মো:জাহাঙ্গীর আলম,মো:মনিরুল ইসরাম,পটু সর্দার,মো:বিপুল,লিটু সর্দার,মনির হোসেন,কার্যকারী সভাপতি মোফাজ্জেল সিকদার সহ নড়াইল বাস মিনিবাস শ্রমিকগণ প্রমূখ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তত্ব রাখেন,পৌর মাতা আনঞ্জুমান আরা,তিনি সকল শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন,আপনার সকলেই আমার কাছের মানুষ,আপন মানুষ,আপনারা কষ্টে থাকলে আমি কি করে ভালো থাকি।
আপনাদের টার্মিনালের যে অবস্থা দেখলাম তাতে করে কোন সুস্থ্য মানুষ এখানে থাকতে পারে না,আমি আপনাদের কথা দিলাম আমি আপনাদের পাসে আছি এবং থাকব।
আমাকে একটু সময় দেন আমি বাস টার্মিনাল থেকে এসব বজ্র ময়লা নিরাসনের পদক্ষেপ নিব,এবং আপনাদের বাস টার্মিনাল কে মডেল বাস টার্মিনাল হিসাবে রুপান্তরীত করব ইনশাআল্লাহ্‌।
বাস মিনিবাস শ্রমিন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন খান,সংক্ষিপ্ত বক্তত্বে বলেন,আনঞ্জুমান আরা নির্বাচিত হওয়ার আগেও বহুবার আমাদের বাস টার্মিনালের ময়লা ফেলার বিষয়ে ডিসি অফিসে বলেছেন কিন্তু তার কথা কেউ সুনেনি আজ আল্লাহুর রহমতে আনঞ্জুমান আরা পৌর মাতা হয়ে হঠাৎ করে আমাদের বাস টার্মিনালে এসেছেন,এজন্য তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার সকল শ্রমিকগণের আজ থেকে তিনিই মা,ছেলেদের কি ভাবে রাখবে এটা তার ব্যপার,কারন তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক,একজন শিক্ষক জাতি গড়ার কারীগর বলেও জানান তিনি।
এদিকে,দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকাসহ বিভিন্য অনলাইনে নিউজ হওয়ায় নজরে আসে নড়াইল পৌর মেয়র আনঞ্জুমান আরার।
নড়াইল কেন্দ্রেয় বাসটার্মিনালে মশা-মাছির অত্যাচারে অতিষ্ট জনজীবন,মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই।
নড়াইল বাস মিনিবাস কোস মায়ক্রোবাস ১২৯৫ শ্রমিক ইউনিয়ন যেন ময়লা খানার কারখানা,বাবার প্রশাষন সহ পৌর মেয়রের নজরে দিলেও কেউ নজরে আনেননি।
বাংলাদেলের ৬৪ জেলায় এমন কোন নজির বাস টার্মিনালে দেখা যায়নি,নড়াইল শ্রমিক ইউনিয়নের মত।
নড়াইল নতুন বাস টার্মিনালে দেখা যায় হাজার হাজার শ্রমিকগণ এ বাস টার্মিনালে দিন রাত যাঁপন করে এবং বাস অমিট থাকলে এখানেই খাওয়া দাওয়া করে।
খাওয়া দাওয়ার সময় মশা মাছির অত্যাচারে ভাতের সাথেই বেসির ভাগ সময় শ্রমিকদের মাছিও খেয়ে ফেলতে হচ্ছে এতে করে অগনীত শ্রমিক ডাইরিয়া সহ বিভিন্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চায়ের দোকানী পরিমল দত্ত অভিযোগ করে জানান,আমি এ চায়ের দোকান চালিয়ে পরিবারের জিবিকা নির্বাহ করি,কিন্তু টার্মিনালের যে অবস্থা এতে করে কোন শ্রমিক”রা এখানে থাকতে চাইনা বা থাকতে পারে না এজন্যই আমাদের দোকানে কোন কেনাবেচা হচ্ছে না বা হয় না,যার জন্য পরিবার কে নিয়ে অনেক কষ্টের মদ্ধে জিবন যাঁপন করছি।
এ টার্মিনালের যে অবস্থা তাতে করে আমরা কোন ভাবেই থাকতে পারছি না কারন নড়াইল পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের বজ্র ময়লা এ নতুন বাস টার্মিনালে ফেলেন দির্ঘদিন ধরে,বার বার টার্মিনাল কর্তিপক্ষ নড়াইল পৌরসভাকে অবগত করলেও কোন প্রতিকার করেননি পৌরসভা সহ পুলিশ প্রশাষন।
এদিকে সাবেক যুগ্নসম্পাদক ও আগামি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো:জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান,বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মদ্ধে এমন নোংরা অপরিষ্কার বাস টার্মিনাল আমরা কোথাও দেখিনি।
নড়াইল নতুন বাস টার্মিনাল এখন পৌরসভার ময়লা খানায় পরিনত হয়েছে এটা কোন ভাবেই বাস টার্মিনাল বলা যায় না,বা বাস টার্মিনাল হতে পারে না।
এখানে হাজার হাজার শ্রমিকগণ রাত দিন এখানেই খাওয়া দাওয়া করে এবং রাত কাটায়,এখানে থেকে অনেক শ্রমিক ময়লার গন্ধে মশা-মাছির কামড়ে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,ডায়রিয়া সহ বিভিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে নড়াইল সহ বিভিন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আরো জানান,আগামি ৬০ দিনের মদ্ধে এ বজ্র ময়লা যদি বাস টার্মিনাল থেকে না সরিয়ে নেন তাহলে নড়াইল বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সকল শ্রমিকগণ কে সাথে নিয়ে সাবেক যুগ্নসম্পাদক ও আগামি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো:জাহাঙ্গীর আলম বাস ধর্মঘট করবে বলেও পৌরসভাকে হুশিয়ার দেন।


বিজ্ঞাপন